শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেল সরদার নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হাত, পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল মাদবর নামের এক ব্যক্তি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাসেল। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে সাইফুল ও তার সহযোগীরা।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাতবরের সঙ্গে একই এলাকার রাসেল সরদারের সঙ্গে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার দুপুরে রাসেল সরদার ইসলামপুর ভাঙা ব্রিজ এলাকার একটি সেলুনে চুল দাড়ি কাটাতে যান। এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ দুলাল মাতবরের নির্দেশে সাইফুল মাতবরসহ ১০ থেকে ১২ জন হঠাৎ করে রাসেল সরদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বোন ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই ব্যবসা করতো। এ ছাড়া তার কোনো দোষ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই আমার ভাইকে জ্বালাতন করছিল ওরা। কেন কী জন্য আমার ভাইকে মারা হলো আমরা জানি না। আমরা এর বিচার চাই।’
নিহতের ভাই রাকিব বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পরে একটি সেলুনে আমার ভাই চুল দাড়ি কাটার সময় ওরা যেয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় কুপিয়ে জখম করে। আমরা সেখানে যেয়ে দেখি ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থান, মাথাসহ হাতে-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তখন আমরা দ্রুত সময়ে শরীয়তপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা পাঠায় চিকিৎসক। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত চারটার দিকে মারা যান তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ব দ্বন্দ্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাসেল নামের একজনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এখনও মামলা হয়নি। তবে আমাদের কাছে মামলা নিয়ে আসলে আমরা মামলা নিয়ে নেব।’
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :