জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন পুলিশ সুপার বরাবর পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুঃ আব্দুল আলী`র (মরহুম) স্ত্রী। জানা গেছে,পুলিশ সুপার বরাবর দেয়া তার আবেদন পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বিজ্ঞ আদালতের রায় হতে প্রাপ্ত তার ভোগ-দখলীয় জমিতে কিছু দূস্কৃতকারী অসাধু ব্যক্তিবর্গ জোর করে দখলের পায়তারা করছে।
২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৯ টায় তার জমিতে তারা জোর করে বাউন্ডারি ওয়াল করতে গেলে তিনি মৌখিকভাবে দেন এবং পুলিশের সহায়তা কামনা করেন। এরই প্রেক্ষাপটে গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা স্হলে পুলিশ এসে দখলদার ব্যক্তিবর্গ ও তাদের কে নিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় যায় এবং এ থানার ওসি দু-পক্ষকে নিয়ে বসে।
এসময় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে বলা হয় আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতরে ওখানে কোন ধরনের কাজ না করার জন্য। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে যে ফয়সালা আসবে সেই অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু এই দখলদার ভূমিদস্যু অসাধু চক্র গতকালকেই রাতে কাজ করে তারা বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ফেলেন। এ বিষয়ে রাতে আবার থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনা স্হলে গেলে দখলদাররা কিছু সময়ের জন্য সরে যান এবং পুলিশ চলে গেলে আবার কাজ শুরু করেন এবং তাদের কাজে বাধা দিলে তাকে,তার ছেলে - মেয়ে ও মেয়ে জামাইদের কে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।এই দখলদার বাহিনী গতকাল দিন এবং রাতে তার সাড়ে ৫ শতাংশ জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল করে ফেলেন এবং গেট তৈরী করেছেন।
এতে তার জমিতে প্রবেশের শেষ সুযোগ থেকেও তিনি বঞ্চিত হবেন। একই সাথে তাদের এহেন জমি দখলদারি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরমভাবে আতঙ্কিত এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর দেয়া আবেদন পত্রে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুঃ আবদুল আলি`র( মরহুম) স্ত্রী মোসাঃ মাজেদা বেগম যাদের কে বিবাদী করেছেন তারা হলেন , (১) আঃ জব্বার মৃধা,পিতা- আঃ মন্নান মৃধা,সাং-ঘুরচাকাঠী,(২) ফোরকান আহম্মদ, পিতা- আবদুর রহমান হাওলাদার, সাং- নিজ বটকাজল,(৩) মোঃ জসিম উদ্দিন, পিতা- আবদুল মান্নান খান,সাং- বটকাজল,(৪) ঈমানুল ইসলাম, পিতা- মোঃ আফজাল হোসেন তালুকদার, সাং-নওমালা,(৫) মোছাঃ কামরুন্নাহার, পিতা- আবদুল মন্নান খান,সাং- মৈশাদী,(৬) মোঃ মনিরুল ইসলাম, পিতা- জালাল আহম্মেদ হাওলাদার, সাং- নওমালা, (৭) মোঃ নজির মৃধা,পিতা- মোঃ জয়নাল মৃধা,সাং- নওমালা, (৮) মোঃ আমিনুল ইসলাম, পিতা- আবদুল মন্নান খান, সাং- বটকাজল,(৯)মোসাঃ শাহনাজ হক,স্বামী /পিতা- মোঃ শাহজাহান মৃধা,সাং-বগা, উভয় উপজেলা - বাউফল,(১০ মোঃ বশিরুল ইসলাম, পিতা- আবদুল আজিজ মৃধা,সাং- খারিজা বেতাগী, উপজেলা -দশমিনা,(১১) মোঃ নাসির উদ্দিন খান,পিতা- আবদুল মান্নান খান,সাং- কৃঞ্চরাম,(১২)মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতা- আবদুল মন্নান খান, সাং-বটকাজল, ডাকঘর - নগরের হাট, উভয় উপজেলা - বাউফল,(১৩) মোঃ হাসান, পিতা- আবুল হোসেন সিকদার,সাং- আলীপুর,উপজেলা - দশমিনা, সর্ব জেলা -পটুয়াখালী। (১৪) আবদুল হাই ( ফাহিম ব্রিকস এর স্বত্ত্বাধীকারী),(১৫) মনজুরুল আলম( জামাতাঃ আবদুল জব্বার) ও (১৬) মিজান প্যাদা গং,পিতা- মৃতঃ আমীর হামজা।
এ বিষয় জানতে পুলিশ সুপার বরাবর দেয়া উক্ত মোসাঃ মাজেদা বেগম`র আবেদন পত্রে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তাদের সাথে অনেক বার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি এবং তাদের খুঁজেও পাওয়া যায় নি। এছাড়াও বহু চেষ্টা করেও তাদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করা যায়নি। এজন্য তাদের কারোও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
একুশে সংবাদ/চ.ব/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :