রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র`র সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার সকল পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. শরিফ ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রুহুল আমীন, গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম, ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর কাত্তিক ঘোষ, উপজেলার ২৬টি পূজামন্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা প্রমুখ।
এ-সময় উপজেলার ২৬টি পূজামন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়, পূজামণ্ডপে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে, শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাবের, সেনাবাহিনী টহল নিশ্চিত করা হবে, পূজা উদ্যাপনকালে প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসারদের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে, পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পূজামন্ডপের নিকটবর্তী স্থানে আনসার সদস্য/নিরাপত্তা কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল/নৌ- পুলিশ/কোস্টগার্ডের ডুবুরি দলকে প্রস্তুত রাখতে হবে, প্রত্যেক পূজামণ্ডপে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় প্রশাসন, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর/মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, প্রতিটি পূজামন্ডপে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রাখতে হবে, শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালে পূজামন্ডপ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজ নিজ পূজামন্ডপে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে, সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটিসমূহকে পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ৩জন এবং রাতে ৪জন) নিয়োজিত করতে হবে, আযান ও নামাজের সময়ে পূজামন্ডলের শব্দ যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে, নতুন পূজামন্ডপ স্থাপনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পূর্বানোমদন গ্রহণ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :