ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে লাালন আনন্দধামের কিছু জিনিসপত্র ভাংচুরের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমন ঘটনাটি ঘটে রবিবার মধ্যরাতে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, পহেলা জানুয়ারি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কবি জাহিদ হাসান ওরফে ক্ষ্যাপা জাহিদ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবু দীনেশচন্দ্র রায়। জাহিদ হাসান সদরপুর কলেজের বাংলা বিভাগের সরকারি অধ্যাপক।
তার স্ত্রী ঢাকায় চাকুরি করেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত এই লালন আনন্দধামেই বসবাস করেন। ওই রাতেও তিনি ওখানে ছিলেন। এখানে তিনি লালন শাহ,র ভক্ত বৃন্দদের নিয়ে ওই কালচারেই মাঝেমধ্যে মধ্যরাত পর্যন্ত গান-বাজনা সহ সাংস্কৃতিক চর্চা করেন। মাঝেমধ্যে সামাজিক কার্যকলাপেও ভূমিকা রাখেন।
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বয়স্ক মুরব্বিরা জানান, এই লালন আনন্দধামে ভালোর পাশাপাশি মন্দের ভাগ বেশি হচ্ছিল। এখানে অনেক রাত পর্যন্ত গানের পাশাপাশি মদ গাজার আড্ডা হয়। নারী নিয়েও আড্ডা চলে। এতে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে এলাকাবাসী চরম নাখোশ। তারপরেও দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়টি তারা সাপোর্ট করেন না।
লালন আনন্দধামের আসরে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় চরম বিঘ্ন ঘটে বলে জানান তারা।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, লালন আনন্দ ধামের পাশেই আমার বাড়ি তাদের কিছু যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করছে বলে আমরা আজকে শুনেছি এর নিন্দা জানাই।
তবে তিনি আরো জানান, এখানে শিক্ষিত লোকরা এসে নারী নিয়ে রাতভর গাজার আসর বসায়। এখানে শুধু গাজার আড্ডা। স্থানীয় ছেলেপেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এরা একমাত্র নেশায় আসক্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে লালন আনন্দধামের প্রতিষ্ঠাতা কবি জাহিদ হাসান বলেন, (রবিবার) রাতে একদল দুর্বৃত্ত বাউন্ডারি ওয়াল টপকে ভিতর ঢুকে অনেক বইপুস্তক,একটি গিটার,একটি দোতরা,একটি একতারা,একটি খমক ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়,সেই সাথে একটি হারমনিয়াম ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এবিষয়ে জাহিদ হাসান ভাংগা থানায় একটু অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি অলরেডি তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :