নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ৫ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন। জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা। বুধবার (২ অক্টেবর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলামের কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, অ্যাডভোকেট হাসান আল মামুন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী টুটুল, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকোট আনিস এবং অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার। ঘটনার পরই আইনজীবী সমিতিতে ভিড় করে অন্য আইজীবীরা।
তারা জানায়, বিকেলে হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সমিতি সভাপতির কক্ষে হামলা চালায়। এসময় অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে কক্ষে বসে ছিলেন সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল। সমিতির সভাপতিকে বাঁচাতে আইনজীবীরা ঘিরে ধরলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। এসময় সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম নিরাপদে বের হতে পারলেও দুর্বৃত্তদের আঘাতে আহত হয় সঙ্গে থাকা ৫ আইনজীবী।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল বলেন, ‘জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জনের একটি দল আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আমার কক্ষে হামলা চালায়। এসময় অন্য আইনজীবীরা ওই কক্ষে বসা ছিলেন। আমাকে বাঁচাতে অন্য আইনজীবীরা ঘিরে ধরলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। এসময় আমি নিরাপদে বের হতে পারলেও হামলায় আহত হয় ৫ জন আইনজীবী। তাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা আমি নিজেও জানি না।’
হামলায় আহত অ্যাডভোকেট হাসান আল মামুন বলেন, ‘কী কারণে হামলা হয়েছে তা বলতে পারছি না। দুর্বৃত্তরা আমাকে হঠাৎ করে এসে কিল ঘুষি শুরু করে। আমি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।’ এবিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ঢোকেনি।
তবে, তার ফেসবুকে তিনি ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তাকে বলতে দেখা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের মাধ্যমে আজকে নতুন বাংলাদেশ হয়েছে। তারেক রহমান ও স্থানীয় নেতাদের নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম, নাশকতা প্রতিরোধে আমরা ছিলাম। গতকালকে মাধবদীতে একটি মামলা হয়েছে, সেই মামলার বাদীকে আইনজীবীসহ আওয়ামী লীগের লোকজন জোরপূর্বক তুলে এনে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে। আমরা এসে বাদীসক হলফনামা উদ্ধার করেছি। ভিডিও বক্তব্যে মামলার হলফনামা দাবি করে একটি কাগজ উঁচিয়ে ধরেন। পরে, ভিডিওতে এ সংক্রান্ত আরও কথা বলেন নাহিদ।
এবিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. শামিম বলেন, ‘আমরা এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’ এরপর, রাত ৯ টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি৷
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :