নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত চাদার টাকা না দেয়ায় দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ীর বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এসময় বাধা দেয়ায় হামলাকারীরা ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ফের হামলার ভয়ে চরম আতংকে রয়েছে ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।
ব্যবসায়ী মোতালিব মিয়া জানান, তিনি এলাকায় জমি বেঁচাকেনার ব্যবসা করেন।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক আহবায়ক সুলতান মাহমুদ হুমকি ধামকি দিয়ে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। তারপর থেকে তিনি এলাকায় আর ব্যবসা করেননি। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে তার কর্মচারী শামীম স্থানীয় দেবই বাজারে গেলে সুলতান মাহমুদের অনুসারী আরাফাত, নাঈম তাকে মারধর করে। এসময় মোতালেবকে ফোন করে ফের ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মোতালেব চাঁদা দিতে রাজি না হলে মঙ্গলবার বিকেলে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে ২ থেকে ৩ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তার দোতলা বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাংচুর করে
তারা ঘরের আলমারী ভেঙ্গে ১৮ ভড়ি সোনা ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাধা দেয়ায় হামলাকারীরা মোতালেবের অন্তঃসত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম, মোতালেবের বড় ভাই মোঘল মিয়া, মোঘলের স্ত্রী কূহিনূর, তাদের ছেলে আসাদ , সাগর মিয়াসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের মধ্যে আছিয়া বেগম ও মোঘল মিয়া ঢাকার পৃথক দুটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সুলতান মাহমুদের সাথে তার মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, মোতালিবের ভাই মাদক ব্যবসায়ী। মোঘল আমার একজন লোককে মারধর জন্য ধাওয়া করছে। সেজন্য তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মোতালিবের বাড়ীতে হামলা করে কিছু ভাংচুর করে।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :