নরসিংদীতে `পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে` ফুফাতো ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর সিপিএসসি নরসিংদীর স্কোয়াড্রন লিডার মো: ইশতিয়াক হোসাইন।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর এবং নরসিংদী ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো- মাসাবো এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন-নরসিংদী শহরের চৌয়ালা মহল্লার মৃত মোঃ হাবিবুর রহমান হাবুর ছেলে নাঈম (৩০) ও মোঃ নাদিম মিয়া (২৫)।
র্যাব জানায়, শহরের চৌয়ালা এলাকার আব্দুল কাদের এর ছেলে হানিফ মিয়া (৩২)কে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে গত ১ অক্টোবর দুপুরে নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার সদর থানায় মামলা করেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেড় মাস আগে নিহত হানিফ ও তার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু, প্রতিবেশী সাজ্জাদ এর সহযোগিতায় তাদের মামা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হানিফ, আব্দুল্লাহ এবং সাজ্জাদের বিরদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়।
পরে আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু গ্রেপ্তার হলেও হানিফ এবং সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে যায়। গত ০১ অক্টোবর দুপুরে মোঃ হানিফ মিয়া পৌর ঈদগাহ মাঠে এক ব্যক্তির জানাযা নামাজ পড়তে যায়। এ সময় মামাত ভাই দুই সহোদর নাঈম এবং নাদিম আসামী হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি ক্রয় করে। পরে উৎ পেতে থাকে এবং কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের মেইন গেটের সামনে পৌছালে হানিফ মিয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব ১১ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জের তারাবো এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :