ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় রোগী৷ দেশে মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিশেষ করে বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকালীন সময় যা শীতের আগমনের আগ পর্যন্ত চলমান থাকে।
বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট অথবা ড্রেন ডোবা হলো ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র। উৎসস্থল পরিস্কার করা না হলে মশার বংশবৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ চলছে সারাদেশে, বিস্তার রোধে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থাপনা নেওয়ার নির্দেশে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু চিকিৎসা দিচ্ছেন শতভাগ।
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথ্য অনুযায়ী, গত মাস থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ১৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন- ২জন। এসব বেশিরভাগ রোগী বকশীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
তবে রোগী বেশি হওয়ায় ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুরোগীদের রাখা হয়েছে অন্য রোগীদের সাথে, ডেঙ্গুর জন্য ডেডিকেটেড শয্যা বরাদ্দ থাকলেও তা নেই সেখানে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আজিজুর হক জানান, দিন দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে সচেতনতা হতে হবে। বাড়ির ছাদে বা কোথাও কোন জায়গায় পানি থাকলে তা পরিষ্কার করে রাখতে হবে। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :