কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছোট ছোট ৩ সন্তান রেখে মাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে ৪ সন্তানের বাবা।
এমন যোগল জুটিরা হলেন সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব গোয়াখালী এলাকার মৃত জালাল আহমেদের পুত্র ৪ সন্তানের পিতা সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলম প্রকাশ দুদু(৪৩) ও শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার প্রবাসী ইউসুফের স্ত্রী ও দক্ষিণ বাঘগুজারার গুরা মিয়ার মেয়ে তিন সন্তানের মা সেলিনা আক্তার(৩৪)।
৭ অক্টোবর রাতে তারা তাদের নিজ নিজ সংসার ছেড়ে পরকিয়া প্রেমের টানে উধাও হয়ে যায়।
ওই প্রেমিক জুটি ঘর ছেড়ে অন্যত্রে সিএনজি অটোরিকশা যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা দুই জনের ছবি তুলে মোহাম্মদ আলমের টিকটক আইডিতে পোস্ট করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই এলাকার লোকজনের মাঝে হাসির খোরাক জন্মায়।
এদিকে তাদের পরকিয়া প্রেমের বিষয় ও স্বামী উধাও হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলমের স্ত্রী দিলরুবা আফরোজ জানান, ২০০৪ সালের ৯ জুলাই ইসলামী শরিয়া মোতাবেক কাবিননামামূলে মোহাম্মদ আলমের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিবাহ হয়। এ সংসার জীবনের কুলজুড়ে আসে ৩ পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। সম্প্রতি মোহাম্মদ আলম আমার ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে আমাকে জ্বালাপোড়া ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। সংসার সুখের আশায় পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ও একটি সিএনজি অটোরিকশা রিকশা কিনে দিই। কয়েক বছর সুখের সংসার হলেও ২০২৩ সালের শেষে দিকে আবারও ওই সেলিনার সাথে পরকিয়া শুরু করে। এতে আমি বাঁধা দিলে আমাকে নির্যাতন করে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা শালিস করে দেয়। পরে পুনরায় সংসার করি। আলমের বড় বোন স্বামী পরিত্যক্তা মনোয়ারা বেগমের যোগসাজশে সেলিনা আক্তারের সাথে আলমের অবৈধ সম্পর্ক গভীর করে তুলে। আমি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন করে আহত করে। আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনা নিয়ে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দিই। সেই অভিযোগে তারা সাড়া দেয়নি। তাদের অবৈধ সম্পর্ক আরো গভীর করে ভালোবাসার পূর্ণ রূপ দিতে উধাও হয়ে যায় তারা।
এ নিয়ে ১৪ অক্টোবর আমি বাদী হয়ে মোহাম্মদ আলম ও সেলিনা আক্তার, মনোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে পেকুয়া সেনা ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে তার স্ত্রী ৩ সন্তানকে পেলে অন্য একজন ৪ সন্তানের জনকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে পালিয়ে যাওয়া খুব দু:খজনক। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
প্রবাসী ইউসুফ সৌদি আরব থেকে ভিডিও কলে জানান, সেলিনা আমার স্ত্রী। তিন সন্তানকে পেলে সে আমার বোনের স্বামীর সাথে পালিয়ে যায়। এমনকি সে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার ঘরে রক্ষিত দেড় ভরি স্বর্ণ, নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনে আমি অনেকদিন অসুস্থ ছিলাম। আমি এ অপরাধীদের বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় এমইউপি সাজ্জাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ওই জুটি এলাকায় নেই বলেও জানান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি সিরাজুল মোস্তফা জানান এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :