গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে নির্ধারিত ডিমের বাজারদর ঠিক রাখার জন্য খামারি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়সহ তাদের দোকানে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন।
গত তিনদিনের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার অন্যতম ডিমের পাইকারি বাজার নামে পরিচিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের তিনজন ডিম ব্যবসায়ীর ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো. মাসুদুর রহমান। সেই সাথে ওই গ্রামের ডিম উৎপাদনকারি খামারি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে সোমবার মতবিনিময় করেছেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. নাজির হোসেন। মতবিনিময় সভায় তাদের সর্তক করা হয়েছে। তারপরও সরকারি বাজারদর তোয়াক্কা না করে অনেক ব্যবসায়ী বেশি দরে ডিম বিক্রি করছেন। অনিয়মের কারণে যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন সাইফুল ইসলাম ৫ হাজার টাকা, কামাল হোসেন ২ হাজার টাকা ও ইউসুফ মিয়া ২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, সরকারিভাবে নির্ধারিত ডিমের বাজারদর খামারিদের বিক্রি ১০.৫৮ টাকা, পাইকারি ১১.০১ টাকা এবং খুচরা ১১.৮৭ টাকা। তবে বিভিন্ন বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ হতে ১২.৫০ টাকা।
খামারি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মুরগীর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। সে কারণে সরকারি বাজার দরে ডিম বিক্রি করলে খামারিদের লোকসান গুনতে হবে। ডিমের বাজার কমাতে হলে খাদ্যের দাম কমাতে হবে। তা না হলে খামার বন্ধ করতে হবে।
পাইকারি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, খামারিরা কমে ডিম বিক্রি না করলে তো তাদের কিছু করার নাই। পরিবাহন খরচ, শ্রমিকদের মজুরি হিসাব করে ডিম বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে লাভ তো দুরের কথা আসল নিয়ে টানাটানি চলছে। কারণ ১০০ ডিমের মধ্যে ১০ হতে ১৫টি ডিম নষ্ট হয়ে যায়।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কেশব চন্দ্র জানান, এক হালি ডিম বিক্রি করে এক হতে দুই টাকা লাভ হয়। তারপর অনেক নষ্ট ডিম বের হয়। হিসাব করে দেখা যায় ডিম বিক্রি করে কোন লাভ হয় না। শুধুমাক্র ক্রেতাদের মন রক্ষায় ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার জানান, সরকারি বাজার দর ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। ডিম উৎপাদকারিদের আবেদন সমুহ উপর মহলে জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :