সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।
উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুস রবিনকে অপসারণ করার জন্য দলীয় মদদপ্রাপ্ত কিছু সহকারী শিক্ষক বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী সহকারী শিক্ষক এবং কিছু বহিরাগতরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত না মেনে সংঘবদ্ধ হয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান, গত ২৩ অক্টোবর বুধবার উভয় পক্ষকে ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে অস্থায়ী স্কুল কমিটি গঠন করা হবে এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে বহাল থাকবে।
উপজেলার নিমগাছী আর্মি ক্যাম্প সূত্রে জানাযায়, এমন পরিস্থিতিতে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত এবং মতাদাতা হিসেবে চারজন সহকারী শিক্ষককে ক্যাম্পে আনা হয়। বহিরাগত একজন নাশকতা সৃষ্টিকারী ঘটনা চলাকালীন সময়ে জানালার গ্রিলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কপালের এক পাশে কেটে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে রয়েছে।
তারা আরো জানায়, উপজেলা বিএনপি`র সভাপতি, সম্পাদক, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এসে তারা দায়িত্ব নিয়েছেন এবং উপজেলার গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ সময় অভিযুক্তদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুস রবিন বলেন, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আমাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। আশা করি এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আর কোন দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। তবে প্রশাসনের নিকট আমার ব্যক্তি নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার অনুরোধ রইলো। সেই সাথে বিদ্যালয়ের সকল খাতাপত্র সাক্ষরসহ দ্রুত সুশৃঙ্খল ভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সকল শিক্ষক এবং প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাই।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :