সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উধুনিয়ায় এখন আর বিনোদন আনন্দে ভিড় নেই। পাথার প্রান্তরের কফি হাউজগুলো খদ্দেরদের ভিড়ে জমজমাট থাকছে না। এখানে কম পুজিতে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের ভ্রাম্যমাণ দোকানীদের বেশীজনই দোকান নিয়ে আসছেন না।
উল্লাপাড়া উপজেলার পাথার প্রান্তরের উধুনিয়া ইউনিয়ন এলাকায় (বাংলাপাড়া- উধুনিয়া) সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বছর চারেক হলো সড়ক নির্মাণ করার পর থেকেই বর্ষা মৌসুমে আনন্দ বিনোদনে নানা পেশার শত শত জনগণের আড্ডা ভিড় জমে থাকে। এখানে সড়কের পাশে বিভিন্ন নামের তিনটি কফি হাউজ এন্ড রেষ্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। এর মধ্যে জলডাঙ্গা নামের কফি হাউজটি ভাসমান হাউজ।
সরেজমিনে বুধবার দুপুর পর ঘণ্টা খনেক সময় থেকে দেখা গেছে এখন আর জনগণের ভিড় নেই। সড়ক পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানো কিংবা সড়কের ধারে দাড়িয়ে - বসে থাকাদের কোনোই ভিড় নেই। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ জন ব্যক্তি ঘুরে বেড়ানো আর খাবার দোকানে বসে আছেন। একাধিক দোকানী বলেন আনন্দ বিনোদনে বর্ষা মৌসুমকালের আসা জনগণের ভিড়ের এক আনা ভিড় এখন হয় না। বালসাবাড়ী এলাকা থেকে এখানে বেড়াতে আসা দুজন তাঁত শ্রমিক জয়নাল আবেদীন ও খোরশেদ আলম বলেন তারা জানেন এখন উধুনিয়া এলাকায় আনন্দ বিনোদনে বর্ষাকালের মতো জনগণের ভিড় জমে না। এরপর শুধু দেখতে এসেছেন বর্ষা কালের পর উধুনিয়া এলাকায় পাথার প্রান্তরে পানি না থাকলে কেমন দেখা যায়।
এখানকার চা বিস্কুটের দোকানী মো. ছাইদুর রহমান বলেন, বর্ষার পানি নেমে যাওয়া বলতে শুকিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আর বিনোদন প্রেমীদের ভিড় জমছে না । তাই দোকানে কেনাবেচা নেই। একেবারে শেষ বিকেলের দিকে এলাকার কম সংখ্যক জনগন আসেন। আবার শীতকালে যখন এখানকার আবাদী মাঠগুলোয় সরিষা ফসলের ফুল ফুটবে। এলাকায় মাঠে হলুদের চাদরের মেলা বসবে। তখন কিছুটা হলেও ভিড় জমবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :