AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাল্টা চাষে বিল্লালের সফলতা


মাল্টা চাষে বিল্লালের সফলতা

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন। পরিচিতি লাভ করেছেন আদর্শ চাষী হিসেবে, খেতাব পেয়েছেন মাল্টা বিল্লাল নামে। তিনি এখন চাষ ও চাষীর জন্য আইডল। 

বিল্লালের সফলতার গল্পটি বেশ চমকপ্রদ। মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন প্রান্তিক চাষীর ছেলে। বড় টানাটনির সংসারে লেখাপড়া মাধ্যমিকের গন্ডি পার করতে পারেননি। চাষের জমি না থাকায় অন্যের জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করতেন। চাষাবাদে সুবিধা করতে না হওয়ায় মনিরামপুর বাজারে বাবার সাথে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল বিক্রি করতেন।ফল বেচাকেনার মাধ্যমে বছর ছয়েক আগে একই উপজেলার করিম নামে এক মাল্টা চাষীর পরিচয় ঘটে। মূলতঃ মাল্টা চাষী করিমের অনুপ্রেরণায় উপজেলার মহাদেবপুর মাঠে পরীক্ষামূলক বিঘা পাঁচেক জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টার আবাদ করেন। খরচ খরচা বাদ দিয়ে সেই সময় অন্ততঃ দুই লাখ টাকা লাভ থাকে। সেই থেকে শুরু হলো মাল্টা চাষ।বর্তমানে ১৬ বিঘা জমিতে মাল্টার আবাদ করেছেন বিল্লাল। এ ছাড়াও, বিল্লালের বাগানে আছে বিভিন্ন জাতের আম, লিচু, লেবু, কলা কুল ও পেঁপে। পুকুরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ। তার সমন্বিত বিল্লাল এ্যাগ্রো খামার”টি বিশেষ করে মাল্টা চাষ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন মানুষ। এরপর প্রতি বছর ফলন বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে আয়। একই সঙ্গে বাগানে বাড়তে থাকে মাল্টা গাছের সংখ্যা।

মাল্টা চাষী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‍‍`গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। চলতি বছর যে ফলন হয়েছে তাতে আরও ১০-১১ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছি। বিল্লালের মাল্টা বাগানের শ্রমিক আশরাফুল আলম বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসে এখানে কাজ করছি,তিনি বাগান করছিলেন বলে আমরা কাজের সুযোগ পেয়েছি।খেয়ে পরে বেঁচে আছি।

মনিরামপুর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সামছুদ্দীন শামীম বলেন,বিল্লালের মাল্টা বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছি, ফলের স্বাদ বর্ণ ক্রেতারদের আকর্ষন করছে।তিনি যদি ব্যাংকের শরনাপন্ন হন তবে সোনালী ব্যাংক এগিয়ে আসবে।

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, এখানকার মাটি,জলবায়ু,পরিবেশ  মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। ‍‍মালটা চাষ লাভজনক। সারা দেশে এর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা দিন দিন মালটা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং বানিজ্যিক ভিত্তিতে ‍‍মাল্টা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাল্টা চাষী বিল্লালের ফলের স্বাদ ও বর্ণের কারনে ক্রেতা বেশী আকর্ষিত হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে 


 

Link copied!