যশোরের অভয়নগরের পল্লীতে একদল দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি পরিবার ঘরছাড়া হয়ে বিচারের আশায় দারে দারে ঘুরছে।
অভয়নগর থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার ধূলগ্রামের মৃত আঃ আজিজ সরদারের ছেলে আঃ মান্নান সরদার (৬০), মান্নানের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৫০) এবং ছেলে নাহিদুল সরদার (২৬)`র উপর একই এলাকার সহোদর ভাই মফিজ সরদার (৩৮), হাতেম সরদার (৪৫), হাতেম সরদারের ছেলে হাদি সরদার (২৩), মৃত লুৎফর সরদারের ছেলে মাসুদ (৩৮), মৃত মজিদ সরদারের ছেলে সালাম সরদার (৬৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন জোরপূর্বক বাদীগণের বসতবাড়ীর একপাশে থাকা নবনির্মিত রান্নাঘর ভাংচুর করে।
বিবাদীরা বসত বাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তা হবে বলে জানায়। তখন প্রতিবাদ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাদীসহ তার পরিবারকে এলোপাথাড়ি মারধর করা শুরু করে। এসময় বাদীর স্ত্রী ও দুই ছেলে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাদের সবাইকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা সহ কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। বিবাদীরা বাদীর স্ত্রী`কে এলোপাথাড়ি মারধর করা সহ তার পরনের কাপড়-চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে । ঘটনাগুলো তার দুই ছেলে মোবাইলে ভিডিও করতে থাকলে ধুলগ্রাম মৈত্রী সমাজ কল্যান নামক একটি পরিত্যক্ত ক্লাবের কয়েকজন সদস্য কেড়ে নেয়।
এ সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাড়ী থেকে চলে গেলে বিবাদীরা বাদীর বড় ছেলের মোটর সাইকেলে ঝুলানো একটি কালো ব্যাগের মধ্যে থাকা কোম্পানীর নগদ ৫ লক্ষ টাকা সহ ব্যাগটি নিয়ে যায়।
বসতঘরে মধ্যে গচ্ছিত টাকা, স্বর্নালংকার ছাড়াও গোয়ালঘরে গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে বাদীদের হুমকিতে প্রাণভয়ে আহত অবস্থায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বর্তমানে পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
হামলার শিকার নাহিদুল সরদার বলেন, আমি খুলনা হাজী মোহাম্মদ মোহসীন কলেজের ছাত্র হিসাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। সেই জন্য এলাকার কিছু লোকের আমার উপর ক্ষোভ ছিল। আমার পরিবারের উপর হামলা সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহাবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষকে থানা কম্পাউন্ডে ডাকা হয়েছে, সেখানে সমাধান না হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :