বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ পান্না খাতুনের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্যগণ । এছাড়াও ঔই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অনাস্থা প্রদান করেছেন ইউপি সদস্যগণ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কাজলী বাজারস্থ সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে শ্রীপুর উপজেলার ৭নং সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ পান্না খাতুনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার,স্বেচ্ছাচারিতা, উন্নয়ন কাজের টাকা আত্মসাৎ, সদস্যদের না জানিয়ে বিধাব,বয়স্ক,প্রতিবন্ধি ভাতা ও টিসিবি কাডের্র তালিকা তৈরী, নাগরিকত্ব সনদ,চারিত্রিক সনদ ও ওয়ারেশ সনদে চেয়ারম্যান নিজে সই না করে জালিয়াতের মাধ্যমে তার স্বামীকে দিয়ে সই করা,ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের টাকা সদস্যদের না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করা, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজ আত্বীয়-স্বজনদের মাঝে সাব-মার্সিবল টিউবওয়েল বিতরণ ও এডিপি প্রকল্পের টাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কার্যকলাপ তুলে বক্তব্য দেন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ। এছাড়াও উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) মাগুরা জেলা প্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যগণ লিখিত অনাস্থাপত্র প্রদান করেছেন।
মানববন্ধন শেষে সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম টুটুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি`র ইউপি সদস্য হওয়ার কারণে নৌকার প্রতীকের মনোনিত নির্বাচিত চেয়ারম্যান পান্না খাতুন আমাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাছাড়া চেয়ারম্যানের স্বামী পরিষদে এসে প্রভাব খাটিয়ে নাগরিকত্ব সনদ,চারিত্রিক সনদ ও ওয়ারেশ সনদে সহি সাক্ষর করেন । এটা আমরা কখনই মেনেে নিতে পারি না। তাই আমরা পরিষদের সকল সদস্যগণ চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন ও জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অনাস্থাপত্র প্রদান করেছি। আশা করি এর একটি সুবিচার অবশ্যই পাবো ।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোছাঃ পান্না খাতুন বলেন, আমি আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নির্বাচিত হয়েছি। আমার জানা মতে কোন প্রকার অনিয়ম বা দূর্নীতি করিনি । সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রত্যেক সদস্যকেই দেওয়া হয়েছে। আমি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান হওয়ায় আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই মিথ্যা বলে মনে করি। আমি যখন যে কাজ করেছি তার সব কাজেরই ফাইল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চেক করলেই বুঝতে পারবে। প্রকৃত তদন্ত হলেই বোঝা যাবে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :