AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধনবাড়ীতে কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ধ্বংস


ধনবাড়ীতে কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ধ্বংস

ফসল ভালো হয়েছিল। কিছুদিন পরেই ধান কাটার কথা ছিল। সেই ফসল দিয়েই ঋণমুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন অনেক কৃষক। গত মঙ্গলবারের রাতের  মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ধনবাড়ী উপজেলার  অনেক কৃষকের। ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা  জানান, ধনবাড়ী উপজেলায়  চলতি মওসুমে ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রূপা আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। ৬ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে এক ঘণ্টার ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ধনবাড়ী উপজেলার   প্রায় কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।

এ এলাকার  একর ছে একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও প্রায়  ২০০থেকে ৩০০ একর জমির  আমন ধান।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধনবাড়ী  উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ন, পাইস্কা ইউনিয়ন, বীরতারা ইউনিয়ন,যদুনাথপুর সহ প্রাই ইউনিয়নে ও ধনবাড়ী পৌর শহরেও  শিলাবৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ে ধান,আলু, শসা, ডাটা, কলাবাগান, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, ছিদ্র হয়েছে বাড়ির টিনের চাল।

মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি খালপাড়া গ্রামের  কৃষক জলিল  বলেন, ‘আমার সব শেষ। ধান পাইক্কা গেছিল। সারা বছরের চলার শক্তি শেষ। হিলে (শিলা বৃষ্টি) আমার কিছুই থুইয়া যাই নাই। কি খামু, পোলাপান কি খাবো।

‘আমি ঋণ কইরা ধান লাগাইছিলাম। ঋণের টাহা চাবার আইলে মাথাত বাড়ি দিতে হবো। আল্লাহ তুমি জানো।’

কৃষক  আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি তিন একর জমির ধান লাগাইছিলাম। আমার কিছুই নাই। ধানে ক্ষেতের যি অবস্থা গরুও খাবো না। হিলে ধান গাছ থেঁতলা গেছে। সব ধান মাটিত ছিইড়া পইড়া আছে। এখন নিজে কিবা কইরা চলমু আর গরু-বাছুররেই কি খাওয়াইমু। কিস্তির  ঋণ নিয়া চাষ করছিলাম এহন তাদের ঋণ কিবাই দিমু।’

কৃষক জালাল মিয়া বলেন, ‘আমি দেড় একর জমিত ধান লাগাইছিলাম। ফলন তো বালাই হইছিল। শিলে আমারতো সব শেষ। আমরা এক সিজন আবাদ করে সংসার চালাই।

‘এইডা নামা জায়গা। এল্লা (অল্প) বৃষ্টি হইলেই পানি ওডে। কয়দিন পরেই ধান কাটতাম। সব তো শেষ হয়ে গেল। এহন পোলাপানের লেহাপড়ার খরচ কী দিয়া চালামু।’

পাইস্কার কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমার জমির ধান জিবা (যেভাবে) কইরা নষ্ট হইছে, গরুও খাইনা দিলে। আর ধান তো নাই। তাই কাইটা বাড়িত নিয়া যাই। পরে তো ক্ষেতে থাকলে পইচ্চা নষ্ট হবো। কোনো কামই হবো না।’

এসব এলাকার অনেক কৃষক পরিবারের ঘরের চালের টিন শিলা বৃষ্টিতে ছিদ্র হয়ে পড়া ঘরে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে মাঠের ফসল নষ্ট, অন্যদিকে বাড়ি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা  বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করব।’

একুশে সংবাদ/ এস কে
 

Link copied!