গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সবজি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের আগাম শিমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গিয়েছে। প্রতিবারের মতো চলতি মৌসুমেও এ উপজেলায় আগাম শিম চাষাবাদ করছেন কৃষকরা।
এবছর শিমের বাম্পার ফলনের সাথে বাজারে এর চাহিদা অনেকটাই বেশি।ফলে উৎপাদিত শিম আশানুরূপ দরে বিক্রি করতে পারছেন চাষীরা। বিশেষ করে অনুকূল আবহাওয়ায় তেমন কোন রোগ বালাই না থাকায় খরচ অনেকটা কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিযে জানা গেছে,উপজেলার ১১ ইউনিয়নে প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ইদিলপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া, দড়িপাড়া, দক্ষিনলক্ষীপুর,রাঘবেন্দ্রপুর, আলীপুর চকনদী তাজনগর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নে নিজপাড়া আরাজী ছত্রগাছা, সদর পাড়া, মধ্যে পাড়া, তিলকপাড়া, হাসানপাড়া ও খামারপাড়া গ্রামের কৃষকরা আগাম শিমচাষে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে পড়ছেন।শিমচাষীদের অধিক ফলন উৎপাদনে কৃষি বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ সবসময় খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে এসব আগাম জাতের শিম বাজারে আসতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন আগে বাজারে পাইকারী প্রতিকেজি শিম ২ শত থেকে ২ শত বিশ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এরইমধ্যে আবার আগাম জাতের অন্যান্য সবজিও বাজারে আসতে শুরু করায় কয়েকদিনের ব্যবধানে শিমের দাম অনেকটা কমিয়ে যায়।
শিমচাষী আল আমিন বলেন,আমি আজ থেকে দুইমাস আগে ২০ শতাংশ জমির শিম তুলে বাজার বিক্রি করেছি।এতে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে দাম অনেক ভাল পেয়েছি।এছাড়া অন্যান্যে বছরের তুলনায় এমৌসুমে খরচও অনেক কম হয়েছে।
এউপজেলার সব এলাকায় কম বেশী শিমচাষ হয়ে থাকে। তবে ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে উন্নতজাতের উচ্চ ফলনশীল শিমচাষ বেশি করে থাকেন।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম বলেন,শিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। শীত কালীন সবজীর মধ্যে শিম অন্যতম একটি সবজি। সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্যে বিশেষ করে ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ২টি ইউনিয়নের মাটি সব ধরনের সবজি চাষের জন্য খু্বই উপযোগী। এই অঞ্চলের কৃষকরা মৌসুম অনুযায়ী যথাসময়ে সব ধরনের সবজি আগাম চাষ করে লাভবান হয়ে থাকেন।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা গেছে, সবজি ভান্ডার খ্যাত এউপজেলার বিভিন্ন ধরনের উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশের হাটবাজারে গুলোতে রপ্তানী করা হয়।
চাহিদা বেশির কারনে এ বছর প্রায় তিনগুন লাভ করেছে শিমচাষীরা।এদিকে, এরআগে বন্যার কারণে নিম্ন অঞ্চলের সব ধরনের জমির সবজি ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় সবজির বাজার আরো বেড়ে যায়।এই সুযোগে তিনগুণ বেশী দামে শিম বিক্রি করতে পারছেন চাষীরা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :