শেরপুরে আজ ৬ নভেম্বর বিকাল ৪ টার দিকে র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওলাদুলকে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা। এরপর আবারও দুই ঘন্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ভাতশালা এলাকা থেকে ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেফাতার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চত করেছে শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
আওলাদুল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি। ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সময় ওই চেয়ারম্যানকে ইউপি পরিষদ থেকে আটক করে র্যাব। আটকের পরে চেয়ারম্যানের ডাক-চিৎকারে এলাকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতা ও সমর্থকরা লাঠি-সুটা নিয়ে লোকজন চার দিক থেকে র্যাবকে ঘিরে ফেলে মার মুখি আচরণ করে। এমন পরিস্থিতিতে র্যাব ও জনতার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। জননিরাপত্তা কথা বিবেচনা করে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। এ সময় উত্তেজিত দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা পরিষদের পাশের বিল দিয়ে ওই চেয়ারম্যান নিয়ে দ্রুত চলে যায়।
র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শুধুমাত্র পরিস্থির কারণে আপাতত ছেড়ে দিয়েছি। বল প্রয়োগ করলে রক্ত ঝরতে পারত। তবে দ্রুতই তাকে আইনের হেফাজতে আনা হবে। যারা চেয়ারম্যানকে নিয়ে গেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি জোবায়েদ ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদুলকে আটক হয়েছে। কারা তাকে ছিনিয়ে নেয় তা জানার চেষ্ঠা চলছে। পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :