খুলনা শহর যেন এখন মশার প্রজননস্থল। দিনের বেলা মশারি টানানো কিংবা কয়েল জ্বালিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী। মশার উপদ্রবে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গুর এই সংকটে উদ্বিগ্ন খুলনার মানুষ।
সোমবার বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলায় খুলনার বিভিন্ন নালা-নর্দমা ও খাল পরিস্কার না করায় মশার প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠেছে নগরটি। এর ফলে, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর খুলনায় ২ হাজার ৬২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, বছরজুড়ে মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা অত্যন্ত কম। নিয়মিত নালা-নর্দমা পরিষ্কার এবং বর্জ্য অপসারণ না করায় এডিস মশার প্রজনন জায়গা বেড়েছে। মশার লার্ভা শনাক্ত ও নিধনে সিটি করপোরেশনের সক্ষমতার অভাব স্পষ্ট। বেশিরভাগ এলাকায় মশার বিস্তার কেমন, সে বিষয়ে কোনো সঠিক ধারণা নেই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের। তাদের ফগার মেশিন ও মশক নিধক ওষুধ এখনও কার্যকর নয় বলে দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতারা খুলনা সিটি করপোরেশনকে মশা নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম চালুর আহ্বান জানিয়ে বলেন, "পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন সিটি করপোরেশনের অগ্রাধিকার খাত হওয়া সত্ত্বেও তাতে সঠিক মনোযোগ নেই। ব্যাপক পরিমাণে পরিছন্ন কর্মী ও লোকবল নিয়োগ সত্ত্বেও মাঠে তৎপরতা অপ্রতুল। এর ফলে বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কাঙ্ক্ষিত সেবার মান পাচ্ছেন না নগরবাসী।"
এছাড়া, নেতারা আরও বলেন, "মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বাড়ি বা নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, নালায় ময়লা না ফেলা এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মশার প্রজনন ঠেকাতে হবে। মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :