সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এক দিনে এক যোগে সব ধরণের রাসায়নিক সার ডিলারদের ব্যবসা মনিটরিং করা হয়েছে। রাসায়নিক সার ডিলারগণ সব ধরণের সার সঠিক পরিমাণ তোলা, ডিলারদের দোকানে কিংবা গুদামে সারের মজুদ দেখা ও নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন কিনা এসবের মনিটরিং করা হয়।
উপজেলা সদরেরসহ বিভিন্ন বাজারে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর একযোগে মনিটরিং চালানো হয় বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে গোটা উপজেলায় বিসিআইসির ২১ জন , বিএডিসির ১৯ জন রাসায়নিক সার ডিলার এবং ১৩৫ জন খুচরা সার বিক্রেতা আছেন। সরিষা ফসল আবাদের চলমান ভরা মৌসুমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী , অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আসয়াদ বিন খলিল রাহাত ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আলাদা আলাদা ভাবে সরাসরি ডিলারদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এসব বিষয়ে মনিটরিং করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন এখন সরিষা ফসল আবাদের ভরা মৌসুম চলছে। কৃষকেরা সরিষা ফসলের আবাদে জমিতে দরকার পরিমাণ মতো নানা রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন। কৃষকেরা সরিষা বীজ বোনার আগে জমিতে রাসায়নিক সার বুনছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর পরিমাণ জমিতে সরিষা বীজ বোনা হয়েছে। গোটা উপজেলায় সরিষা ফসল আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ২৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে ধরা আছে।
তিনি আশা করছেন সরিষা ফসল আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিবেদককে তিনি আরো বলেন তার বিভাগ থেকে এক যোগে সব এলাকার ডিলারদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জোরালো মনিটরিং করা হয়। তিনি মোহনপুরসহ আরো একাধিক বাজারে মনিটরিং করেন। সরিষা ফসলের পর পরই বছরের প্রধান বোরো ধান ফসলের আবাদ শুরু হবে। সে সময় কৃষকদের কাছে সব ধরণের রাসায়নিক সারের চাহিদা আরো বেশী থাকবে। উল্লাপাড়ায় কোনো সার ডিলার কিংবা খুচরা বিক্রেতাদের কেউ রাসায়নিক যে কোনো সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী নিলে ( কেনাবেচা করলে ) তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মনিটরিং মাঝে মধ্যেই করা হবে বলে জানান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :