বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরে বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার ভোরে প্রথম জোয়ারে পূর্ণস্নানের মাধ্যমে শেষ হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সনাতন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বনবিভাগ ও রাসোৎসব উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এজন্য আলোরকোলে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মন্দির। সেখানে গিয়ে মনোবাসনা পূরণের আশায় পূজা-অর্চনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। নিয়ে যান খাসি-মুরগিসহ মানতের নানা সামগ্রী।
এক সময় এই রাস মেলায় পুণ্যার্থী ও দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী মিলে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতো।কিন্তু এতো লোকের আনাগোনা ও বাদ্য-বাজনায় সংরক্ষিত বনের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীব-বৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। যেকারণে ২০২১ সাল থেকে রাস মেলার আয়োজন বন্ধ করে শুধুমাত্র রাস পূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বনবিভাগ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাস উৎসস্থল দুবলারচরে যাওয়ার জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাগেরহটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, দুবলারচরের রাস উৎসবে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মের লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে যাওয়ার অনুমতিপত্র (পাস) দেয়া হবে না।
১৪ নভেম্বর সকাল থেকে রাস উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেশন অফিস থেকে পূণ্যার্থীদের অনুমতিপত্র দেয়া শুরু হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। রাস উৎসবে যাওয়ার ছলে কেউ যাতে অবৈধভাবে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ বা হরিণ ও বন্যপ্রাণী শিকার করতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি রয়েছে। এজন্য বনরক্ষীরা নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :