সুষ্টু নির্বাচেেনর পরিবেশ সৃষ্টিসহ সংস্কার কমিশনের কাছে জন-আকাঙ্খা ভিত্তিক সুপারিশমালা প্রণয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলা কমিটি মহানগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সুজনের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম মাসুদ। সংবাদ সম্মেলন থেকে সংস্কার কমিশনসমূহের কাছে তাদের প্রত্যাশা, সুপারিশমালায় যেন জন-আকাংক্ষাগুলো গুরুত্ব পায় সেটা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে নিন্মের সুপারিশমাল তুলে ধরা হয়।
১। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধধ্বংসের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিকীকতনে এই ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধকরণের কোনো বিকল্প নেই। আর এর অগ্রাধিকারগুলো হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে, নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদের স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ প্রদান; নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত সকল জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতার লক্ষ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিটিকে আহরান জানানো। সংবিধান সংস্কার কমিটি, যেন এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতিও প্রবর্তনের সুপারিশ করে, সেব্যাপারে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো; প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তিত না হলে।
> `না`-ভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তন; > নির্বাচনে ব্যয়-হ্রাসের লক্ষ্যে কমিশনের উদ্যোগে প্রতিটি আসনে প্রার্থী পরিচিতি সভা, হলফনামার তথ্য ভোটারদের মাঝে বিতরণ, প্রতিটি আসনের জনবহুল স্থানসমূহে প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত বিলবোর্ড স্থাপন: মনোনয়ন বাণিজ্য ও নির্বাচনে টাকার খেলার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান: নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন, তাতে যেন অতীতের মতো কোনো জেন্ডার গ্যাপ না থাকে; করে যথাযথভাবে নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ। আইন অনুসরণ পরিবর্তন এনে, এতে তথ্য বিভ্রাট দূর করা। এবং হলফনামার ছকে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও কারসাজিমুক্ত করার লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বিভিন্ন বিধিমালায় সংশোধনী আনা।
২। সংবিধান সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকরা দীর্ঘদিন থেকেই সংবিধান সংশোধনের দারি করে আসছে। নাগরিকদের সেই আকারকা বিবেচনায় সংবিধান সংস্কার কমিটির অগ্রাধিকারগুলো হতে পারে: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন: এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন। উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক পার্লামেন্টের রূপ দেওয়া। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এমন বাধ্যবাধকতা (টার্ম লিমিট) সৃষ্টি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করা। এবং সংবিধানকে প্রকৃত অর্থেই অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্টোর সংবিধানে পরিণত করা। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংবিধান সংশোধনের সুযোগ না থাকলে, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে এমনভাবেই সমকোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে, যাতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং অন্যান্য দল তাতে সমর্থন দেবে।
৩। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ। জনপ্রশাসন রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জনপ্রশাসন সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে জনপ্রশাসনকে সদপূর্ণরূণে দলীয়করণমুক্ত করা। জনপ্রশাসনকে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা; শাবলিক সার্ভিস কমিশনকে দলীয়করণমুক্ত করা এবং মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সকল ধরনের নিয়োগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা। দক্ষতা, যোগ্যতা, জৈষ্ঠতা ও সততাকে পদোন্নতির পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সরকারি কর্মসূচিতে পরিণত না করা; এবং কোনো দলীয় কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা।
৪। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: রাষ্ট্রে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই। বিচার বিভাগের সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের যথাযথ বাস্তবায়ন। বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন, আইনের ভিত্তিতে সং, দক্ষ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ বাক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদান। বিচার বিভাগের আওতায় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা। এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে বিচার বিভাগকে মুক্ত করা।
৫। দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনেয় অগ্রাধিকারসমূহ: দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার অন্যতম উদ্যোগ হওয়া উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিয়ো টলারেন্স নীতি গ্রহণ এবং ভার সফল বাস্তবায়ন। আর এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার। সুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে। আইনের ভিত্তিতে সং, দক্ষ, যোগ) ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দুর্নীতি দমন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে মুক্ত করা। দুর্নীতিবাজদের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্যোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পৃষ্ঠনকারীদের বিচারের আওতায় আনা; এবং ক্স কমিশনের অনুসন্ধান ও গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্বারোপ করা।
৬। পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ। রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশ প্রশাসন সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে। পুলিশ প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণমুক্ত করা। পুলিশ প্রশাসনকে কোনে। দলের কাছে নয়, রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা।
পুলিশ প্রশিফলতে আরও উন্নত করা এবং মানবাধিকারের বিষয়টি সম্পর্কে প্রশিক্ষণে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা মিটির কর্মঘন্টা নির্ধারণ, বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় প্রদানসহ অতিরিক্ত কাজের চাপ যেকে পুলিশ সদস্যদের মুক্ত করা, পুলিশ লাইনসগুলোতে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত আবাসনব্যবস্থা (সিট) ও বিনোদনের ব্যবস্থা বাবা, দক্ষতা, যোগ্যতা, জৈষ্ঠতা ও সতভাকে পদোন্নতির পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া, গোয়েন্দা সেলের সক্ষমতা বৃদ্ধি। গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ, এব কোনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা।
৭। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা। তাই বিষয়টির গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে: স্বাস্থ্যসেবাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার গণ্য করা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তোলাসহ প্যাথলজিক্যাল ফেসিলিটিস বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা: ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পর্যান্ত সংখ্যক ডাক্তারের পদায়নসহ ও কর্মস্থলে অবস্থান বাধ্যতামূলক করা। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ঔষধসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা; গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করা। সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করা। এবং ক্স স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অবসান ঘটানো।
৮। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ। গণমাধ্যমের ভূমিকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, একে রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ বলা হয়ে থাকে। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণসহ একটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্যও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অতীব জরুরি। গণমাধ্যম সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে। গণমাধ্যম যাতে ভীতিমুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা। সাংবাদিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি কাঠোমো তৈরি করাঃ অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা রাখা: একটি স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সত্যিকারের `ওয়াচ-ভগে`র ভূমিকা পালনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা, `সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টের নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ বিয়োজনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী সকল নিবর্তনমূলক আইন বাতিল। করা; এবং ক্স গণমাধ্যম কর্মীদের চাকুরির নিশ্চয়তাসহ বেতন-ভাতাদির বিষয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৯। শ্রমিকঅধিকার বিষয়ক সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শ্রমজীবী মানুষদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই শ্রেণিটি অবহেলিত। সঙ্গত কারণেই এই শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকে রাষ্ট্রকে গুরুত্বারোপ করতে হরে। শ্রমিকঅধিকার বিষয়ক সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে। শ্রমিকের সংজ্ঞায় কৃষিশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা; ন্যূনতম মানসম্পন্ন- জীবনযাপন ও পুষ্ঠিচাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ; স্বল্প আয়ে ন্যূনতম মানসম্পন্ন- জীবনযাপনে সহায়তার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান: কারণে-অকারণে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা। শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও পেনশনসহ তাঁদেরকে বিমা-সুবিধার আওতায় আনা। কৃষিবীমা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ। প্রবাসে কর্মপরিসর বৃদ্ধি ও শ্রমবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে সরকার কর্তৃক যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ। প্রবাসী শ্রমিকদের বিমানবন্দরে ভিআইপি হিসেবে গণ্য করা; এবং রেমিটেন্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা বাবস্থা করা।
১০। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। এই অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পশ্চাদপদ রেনে জাতিগতভাবে আমরা এগুতে পারবো না। তাই নারীবিষয়ক সংস্কারের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীবিষয়ক সংস্কারের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষ্যমের অবসান ঘটানো। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সম্পত্তিতে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা। ক্স জাতীয় সংসদসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে এক-তৃতীয়াংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ এবং উক্ত আসনসমূহে সরাসরি নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ: ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা: এবং ক্স নারী নির্যাতন ও নিপীড়নে বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ।
১১। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ: আমাদের সাংবিধানিক আকাঙ্ক্ষার আলোকে (১১, ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য আইন প্রণয়নের প্রত্যাশা থাকলেও তা অদ্যাবধি হয়ে ওঠেনি, বাস্তবায়ন করা যায়নি প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের চেতনা। কিন্তু আমাদের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারসমূহ হতে পারে: ক্স সাংবিধানিক আকাঙ্ক্ষার আলোকে (১১, ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য সমন্বিত আইন প্রণয়ন; স্থানীয় সরকারের কর্মকাণ্ডে সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধকরণ: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনগুলো নির্দলীয় ভিত্তিতে সংসদীয় পদ্ধতিতে আয়োজন। একই তফসিলে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন আয়োজন: জেলা পরিষদ নির্বাচন মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে না করে সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে আয়োজন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার ওয়ার্ডসমূহ জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে এটির অধিক ওয়ার্ড নিয়ে ইউনিয়ন যা পৌরসভা গঠন; ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ। জাতীয় বাজেটের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বরাদ্দ করা এবং প্রতিষ্ঠানসমূহে জনসংখ্যার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য নতুন নতুন আয়ের উৎস চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুজনের রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি পিয়ার বক্স, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক আসাদ আলী, অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, আঞ্চলিক সমন্বয়ক মিজানুর রহমান ও সমন্বয়ক আমির উদ্দীন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :