একসময় শুধুমাত্র পারিবারিক চাহিদা পূরণে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বা ঘরের চালে লাউ চাষ করা হতো।
এখন লাউ এর ব্যাপক চাহিদা, উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগার কারনে বাণিজ্যিক ভাবে লাউ চাষ শুরু হয়েছে। কৃষিজমিতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে সাফল্য পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের কৃষকেরা।উপজেলার উথলী, আন্দুলবাড়িয়া, রায়পুর, হাসাদাহ, বাঁকা ও সীমান্ত এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায় মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ শুরু করেছে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা। বাঁশ ও তার দিয়ে ৫ ফুট উঁচু করে তৈরি করা হয় মাচা।একবার মাচা তৈরি করলে সেখানে ৩ থেকে ৪ বছর লাউ চাষ করা যায়।লাউ চাষে রাসায়নিক সার ও শ্রমিক খরচ অন্যান্য চাষের ছাড়া অনেক কম।এছাড়া চারা লাগানোর দেড় মাসের মধ্যে লাউ ধরা শুরু করে।
উপজেলার উথলী গ্রামের লাউ চাষি আশরাফুল ইসলাম জানায়,এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড ময়না জাতের লাউ চাষ করেছি। প্রতিদিন ৩ কাটুন করে লাউ বিক্রি করি।প্রতিটি কাটুনে ৬০ পিচ করে লাউ আমরা রাজধানী ঢাকাতে পাঠিয়ে দিই।খরচ খরচা বাদ দিয়ে প্রতি কাটুনে ১৭শ থেকে ১৮শ টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।
আরেক লাউ চাষি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন,স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি দেড় বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করেছি। প্রতিদিন সকালে লাউ কাটুন করে ঢাকাতে পাঠানো হয়।বিকালে ও ছুটির দিন আমি নিজে এসে লাউ গাছ পরিচর্যা করি।
তরুণ লাউ চাষি জনসন মিয়া বলেন,১৫ কাঠা জমিতে উচ্চ ফলনশীল ডিসকাভার জাতের লাউ চাষ করেছি। লাউ চাষে রাসায়নিক সার ও শ্রমিক খরচ কম, অল্প দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যাপারীরা জমি থেকে লাউ নিয়ে যায়। অন্যান্য চাষের ছাড়া লাউ চাষে বেশ লাভ হচ্ছে।
তরুণ লাউ চাষিদের সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :