AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খোলা জ্বানালায় বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি


Ekushey Sangbad
পারভেজ আহমেদ, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
০৬:২০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
খোলা জ্বানালায় বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি

বাংলাদেশে অতি পরিচিত পাখি ঘুঘু। এই পাখি গ্রামাঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। লোকালয়ের কাছে বাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। তবে গনমাধ্যম কর্মীদের চোখ তো আর আড়াল দেওয়া যায়না। তাদের নজরে ঠিক পড়ে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের খোলা জ্বানালার এক পাশে বাসা বেঁধে এক জোড়া ঘুঘু বসবাস শুরু করেছে, ডিমও দিয়েছে বংশ বৃদ্ধির জন্য।


সড়জমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের একটি জানালা খোলা। সেই খোলা জ্বানালায় বাসা বাঁধে ঘুঘু পাখি। একটি পাখিকে বাসায় দেখা মিলে এবং অন্য আরও একটি পাখিকে কৃষ্ণচুড়া গাছে বসে থাকতে দেখা যায়।


বাসা বাঁধার মৌসুম ছাড়া সাধারণত ঝাঁকে থাকতে পছন্দ করে ঘুঘু পাখি। ঝোপঝাড়ে, গাছের ডাল হোক উচু বা নিচুতে, পছন্দসই জায়গা পেলেই বাসা করে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বেছে নিয়েছে পাখি যুগল।


ওই অফিসের নৈশ প্রহরী পারভেজ বলেন, অফিসের স্যারের কক্ষের সামনে ছোট্ট গাছে এক জোড়া ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে। পরে দুইটি ডিম দিয়েছে। খুব কাছে থেকে সেই ঘুঘুর বাসা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর বাসাটির খেয়াল রাখছি। শিকারী বা শিশু-কিশোররা যেন ক্ষতি করতে না পারে।’


এ প্রসঙ্গে কমলগঞ্জ জীব বৈচিত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশবাদী আহাদ মিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তো না। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রঙ বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে আমাদের অঞ্চলে।


এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর এলাকা শিখারিরা প্রায় সময়  ফাদ পেতে এই পাখি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে থাকে। বনপ্রাণী বিভাগ প্রায় সময় অভিযান করে। তবে সচেতনতার প্রয়োজন। শীত এলেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ হত্যা করছে এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে।’

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!