গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদ ও সাংবাদিক হায়দার হোসেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুকসুদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল।
আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় আওয়ামী নেতা ও সাংবাদিক হায়দার হোসেনের পাক্ষিক মুকসুদপুর সংবাদ পত্রিকায় জাতীয়তাবাদী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম কে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্র দল প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এসময় মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মোল্যা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অন্তর শেখ , সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাকিব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই সময়ে বক্তারা বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই একজন স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ, যার সৃষ্টি হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে, সেলিমুজ্জামান সেলিম দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভিত্তি মজবুত করেন, বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারে আমলে বারবার গ্রেফতার ও কারাভোগের পরেও একটি মূহুর্তের জন্যও নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি, সেই মহান নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সাংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দূর্নীতিবাজ হায়দার হোসেন বিগত ষোল বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সাবেক বিমান, পর্যটন মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ ফারুক খানের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে, এলাকায় সাংবাদিকতার নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। হায়দার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একসাথে এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস থেকে বেতন ভতা ভোগ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন অফিস আদালতে খবরদারি সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেন। বক্তারা তার এসকল দূর্ণীতির তদন্তে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মুকসুদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মোল্লা বলেন, আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সম্মানিত শিক্ষা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গোপালগন্জ জেলা প্রশাসক, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেছি, সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলির সদস্য গোপালগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খানের আশ্রয় প্রচ্ছায়ে এবং তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিসহ এমন কোন নেক্কারজনক কাজ নেই যা তিনি করেন নাই।
মুকসুদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদি মুন্সি প্রতিবেদককে বলেন- এই হায়দার একসময় পত্রিকায় হকারি করত, বিগত ষোল বছর আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় বিশাল বিত্তশালী হয়ে ওঠেন। নিজের দূর্ণীতি ঢাকতে উপজেলা দূর্ণীতি দমন কমিটির সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, আমরা প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে, কথিত সাংবাদিক ও আওয়ামী নেতা হায়দারের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :