সারা দেশের সাথে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম যশোর খুলনা মহাসড়ক। পণ্য ও যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজার হাজার যানবাহন। সড়ক ব্যবহার করা যাত্রী ও চালকদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নওয়াপাড়া পৌর এলাকার উপর দিয়ে যাওয়া রাজঘাট থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটারের অংশটি ।
কিন্তু এই অল্প জায়গার প্রায় অর্ধেক সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে ছোট-বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ভাংগা এই অংশ টুকু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক ব্যবহার করা চালক ও সাধারণ মানুষদের।
সড়ক মেরামত বা চলাচলের উপযোগী করার দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তবে মাঝে মাঝে তাদের দেখা যায় বড় বড় ইট দিয়ে গর্ত পুরণ করতে, যা সড়ক ব্যবহারকারীদের তেমন কোন উপকারে আসেনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া বাজারের নুরবাগ থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত , বেঙ্গল মিলের সামনে থেকে ভাংগাগেট পর্যন্ত ও চেংগুটিয়া থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত সড়ক সম্পুর্ণ চলাচলের অনুপযোগী, এ সব এলাকায় সব সময়ই লেগে থাকে ছোট বড় দূর্ঘটনা। বিশেষ করে লোড ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত, দূর্ঘটনায় যাত্রী বা পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে। যে কোনো সময় অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনায় প্রাণহানির আশংকা করছেন সড়ক ব্যবহারকারীরা চলাচলের অনুপযোগী সড়কের এই অল্প দুরত্ব পার হওয়া চালক ও যাত্রীদের জন্য ভীতিকর অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।
নিয়মিত এ সড়ক ব্যবহার করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বনানী বলেন, আমি যখন থেকে হাই স্কুলে পড়া শুরু করেছি তখন থেকে কোন দিন এই সড়ক ভালো পাইনি।
কথা হয় ট্রাক চালক মতিয়ায়ারের সাথে তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে নওয়াপাড়া আসলেই মনে হয় এই বুঝি গাড়ি উলটে গেলো।
এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহজাদা ফিরোজ বলেন, অতি বৃষ্টির জন্য সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। আমরা মেরামত করে রাস্তা ব্যাবহারের উপযোগী রাখার চেষ্টা করছি। একটি দরপত্র আহবান করা হয়েছে, দরপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই আমরা কাজ শুরু করবো।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :