শেরপুরে সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা ও চিত্রসাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞাকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ ৷
২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ ঘন্টাব্যাপি এ বিক্ষোভ কর্মবিরতি পালন করেন৷বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝে স্থানীয় প্রয়াত সাংবাদিকের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং শেষে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ। সিভিল সার্জনের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হিমেল ৷
এসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার কাকন রেজার সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল হক খান সৌরভের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের কার্যকরি সভাপতি মোঃ রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন ৷
বক্তারা ডা.সেলিম মিঞাকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৭২ঘন্টার আলটিমেটাম দেন ৷উক্ত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসুচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান ৷
উল্লেখ্য শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে লাঞ্চিত শিকার হয়েছিলেন সময় টিভির শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী৷এসময় ক্যামেরা পার্সন ভিডিও করতে গেলে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন সেলিম মিঞা। পরে তিনি সাংবাদিক হিরাকে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টা খানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি অন্য সাংবাদিকরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করে৷
এসময় জেলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :