AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সন্তানকে দত্তক দিয়ে মানষিক ভারসাম্য হারালেন মা!


Ekushey Sangbad
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়
০১:২০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
সন্তানকে দত্তক দিয়ে মানষিক ভারসাম্য হারালেন মা!

গত এক বছর আগে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলতো তার পরিবার। তবে গত চারদিন আগে ৯ মাসের নিজ সন্তানকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে দত্তক দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছেন শরীফা। তবে ভারসাম্য হারালেও নান নাটকিয়তার পর আবারো নিজ পরিবারে ফিরেছে শিশুটি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে অবগত হয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সন্ধায় পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

মানষিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করে বসবাস করতেন। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানষিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

আরো জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ ক্ষেতে রেখে ভিক্ষা করতে যায় শরীফা খাতুন। এসময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী। একই সাথে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যায় শরীফা।

পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা বলছেন, নিজ সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পর শরীফা হারিয়ে ফেলেছে মানষিক ভারসাম্য। টানা চারদিনে শিশুটির কোন সন্ধান দিতে না পারলেও, একসময় জানান ঠিকানা। তবে নানা নাটকিয়তার মাঝে অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চারদিনের মাথায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। 

এদিকে এমন কান্ডের পর স্বামী ছাড়া ও ভারসাম্যহীন পরিবারটির পাশে সরকারি সহায়তার দাবি প্রতিবেশীদের।

এ বিষয়ে শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে পঞ্চগড়ে যায়। পরে একসময় বাড়িতে একায় এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করে। বিষয়টি জানার জন্য ও বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোন কিছু জানাচ্ছিলো না। পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। পরে সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরো জানতে পারি মা বোনকে নিবে না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। আজ (শুক্রবার) সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমাকের বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে নিয়ে গিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বর্তমানে বোন আমার দেখাশোনাতে আছে।

মোস্তাফিজুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, অনেক আগ থেকে ওই মহিলাকে দেখছি। সে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালায়। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে এখন প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রতিবেশীরা বলছেন, খুব কষ্টে পরিবারটা চলছে তাদের। স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে ভিক্ষা করতো। এর মাঝে এমন কান্ড ঘটে সে পাগল হয়ে গেছে। তার মোট তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পাইলে পরিবারটি ও শিশুগুলোর জন্য অনেক ভালো হবে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, সময় সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেয়া হয়েছে। যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনও‍‍`কে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!