শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রভাবশালী একব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে জোরর্পূবক নদী গর্ভে সহশ্রাদিক বস্তা বালু ও সিমেন্ট ভর্তি জিও বেগ ফেলে। যার কারনে নদীর অপরপ্রান্তে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বিলিন হতে পারে তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা, চাতাল মিল ও বসত ঘর।
নালিতাবাড়ীর পাহাড়ী নদী ভোগাইয়ের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকায় এ ভাঙ্গন দেখা দেয়।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানিয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে তৎকালিন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রভাবশালী আমলা প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সহ¯্রাধিক জিও বেগ নিজ শশুর বাড়ির পাশে নদীগর্ভে ফেলে রাখে। ভোগাই নদীর নিজ সাইটে পাকা পাইলিং এর তির রক্ষা বাধঁ থাকার পরেও জিও ব্যাগ ফেলানোকে অনেকইে ক্ষমতার অপব্যাবহার বলে মনে করছেন। শশুর এর জমির উপর নাদীর কিনারে বাধেঁর উপর বাড়ী নির্মান করে। বাড়ীর বাড়তি নিরাপত্তা ও পাশে ভরাট হওয়ার জন্য এমন জিও বেগ ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
ভোক্তভোগিরা জানান, বর্ষাকালে নদীতে পনি আসলে পানির ¯্রােতে নদী গর্ভে ফেলে রাখা বালু ও সিমেন্ট ভর্তি জিও বেগে ধাক্কা খেয়ে অপরপ্রাান্তে পার ভেঙ্গে কয়েকটি বাড়ী, দুটি মিল চাতাল, তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার অংশ ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে।
নদীগর্ভে দেওয়া সিমেন্ট বালু ভর্তি জিও বেগ না উঠালে কোন পাইলিং এ কাজহবে না নদী ভাঙ্গন অভ্যাহত থাকবে বলে জানান স্থানীয়রা। কর্তৃপক্ষের নিকট জিও ব্যাগ তুলার জোর দাবি জানান নদীর পারের বসবাসরত বাসিন্দারা ।
ক্ষতিগ্রস্ত সামসুন্নাহার জানান, আমার স্বামী ও শশুর মারা যাওয়ায় আমি ও আমার দুই সন্তানকে নিয়ে বেচে আছি। যখন জিওব্যাগ ফেলা হয় তখন আমি তাদের নিষেধ করছিলাম তারা মানে নাই। জিও বেগ ফালার কারনে গতকয়কে বছরে আমার জমির প্রায় ১৫ শতাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। এখনই ব্যাবস্থা না নিলে আমাদের বাড়ী ঘর সহ সমস্থ জমি নদী গর্ভে চলে যেতে পারে।
তারাগজ্ঞ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সামস উদ্দিন জানান, কয়েক বছর ধরে নদীভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে মাদরাসাও ভেঙ্গ যেতে পারে। সামান্ন কাঠ দিয়ে পাইলিং করলে থাকবে না বøক করে পাইলিং করলে ভাল হয়।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের শেরপুরের উপ সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ভাঙ্গল এলাকা পরিদর্শন করেছি। কাঠ দিয়ে পাইলিং এর কাজ চলমান ছিল। বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের পর ঠিকাদার পালিয়েছে। আবার কাজ শুরু করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রানালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক বলেন, জিও বেগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা যেখানে প্রয়োজন মনে করেছে সেখানে ফেলেছে। আমি শুধু বলেছি ভোগাই নদীর যেখানে ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে সেখানে জিওবেগ ফেলতে। তারা যেখানে ঝুকি মনে করেছে সেখানে ফেলেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :