বর্ণাঢ্য আয়োজনে সোমবার ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভাগ, হল ও অনুষদগুলো তাদের নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণে মিলিত হয় ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য ক্যাম্পাসের আমতলায় বিভাগসমূহ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। পরে বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় ডিনদের মধ্য থেকে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট। আলোচনা সভায় জুলাই বিল্পবের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়। শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য কাজ করছি। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মডেল বিবেচনা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপ দিতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর ৪৬ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস থাকলেও সেদিন শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় উদযাপনের দিন পিছিয়ে ২৫ নভেম্বর সোমবার করার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :