নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় এলাকায় এক শিল্পপতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ডাকাত দল জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ওই শিল্পপতির ছেলে ও পুত্রবধূর হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মারধর করে। পরে নগদ সাত লাখ টাকা ও ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন সস্তাপুর গাবতলা এলাকায় ডাইং কারখানা ঢাকা টেক্সটাইলসহ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিম মালার বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে ডাকাতদের হামলায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক রেজাউল করিম মালা জানান, বুধবার ভোর রাতে তার দুই তলা বাড়ির পেছনের জানালার গ্রিল কেটে মুখোশধারী ছয়জন সশস্ত্র ডাকাত ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। ডাকাতদের একজনের হাতে পিস্তল ও অন্যদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এছাড়া ঘরের বাইরেও ডাকাত দলের মুখোশধারী সদস্যরা দাঁড়িয়ে ছিল। ডাকাতরা প্রথমে রেজাউল করিমের ছোট ছেলে আলাউদ্দিনের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে তাকে ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে ফেলে। তখন তারা চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাত দলের সদস্যরা আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তারা গুরুতর আহত হন।
এ সময় ডাকাতরা আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের গলা ও আঙ্গুল থেকে পড়নের অলংকার ছিনিয়ে নেয়াসহ আলমারি থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এরপর বাড়ির নিচ তলায় নেমে ডাকাতরা ঘরের আসবাবপত্র লণ্ডভণ্ড করে এবং আলমারি ভেঙে নগদ সাত লাখ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজেও ডাকাতির এই ঘটনা স্পষ্ট দেখা যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে আহত আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী নাসরিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। আলাউদ্দিন জানান, ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পর পর দুটি গুলি করে ভয় দেখিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির ঘটনার কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেই ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ করে ডাকাতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/সস/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :