সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ পাহারার মধ্যে থাকা যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী (৩০) হত্যা মামলার আসামিদের গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামিকে আদালতে হাজির করলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর মধ্যে একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
আদালতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মী জাকির আহমদ বলেন, যুবদল নেতা বিলাল আহমদ মুন্সী হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজি রুনু মিয়া মঈনসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে নগরীর শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশ। বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশি পাহারায় কিল, ঘুষি, লাথি ও জুতা খুলে মারে। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের আদালতের সেফ কাস্টডিতে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যুবদল কর্মী বিলাল হত্যা মামলার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ কিছু জনতা। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর মধ্যে একজনকে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ও বাকি দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের শাহপরানের বাহুবল এলাকায় বিলাল আহমদ মুন্সীকে হত্যা করা হয়। দুই ছাত্রের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে সিলেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকোলে খুন হন বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে বিলাল আহমদ মুন্সী। তিনি নগরের ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহত বিলালের ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা) মহানগরের শাহপরান (রহ.) থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :