পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে রাস্তার দুই ধারে প্রায় ছয় কিলোমিটার জুড়ে তালের বীজ বপনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী
অফিসার আবদুল কাইয়ূম। নিজ উদ্যেগে উপজেলা বন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভিন্ন বাড়ি থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় হারজি গ্রামের মিরুখালী রাস্তায় তালবীজ বপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাইসুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন ফরাজী, উপজেলা বন কর্মকর্তা সুরেষ চন্দ্র মিস্ত্রী, সাংবাদিক রফিকুজ্জামান আবির, ইসরাত জাহান মমতাজ, গাজী মাসুদ প্রমুখ।
সম্প্রতি মঠবাড়িয়া থেকে মিরুখালী সড়কের হারজি নামক স্থানে সড়ক উন্নয়ন কাজে সড়কের দুই পাশের বৃক্ষ নিধন করা হয়। এতে কয়েক হাজার বৃক্ষ উজার হয়। ফলে ছায়া ঢাকা সড়কটি বৃক্ষহীন হয়ে পড়ে। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছয় কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে তাল বীজ বপনের উদ্যোগ নেন। গত কয়েক মাস ধরে উপজেলা বন কর্মকর্তার সহায়তা গ্রামের গৃহস্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাল বীজ সংগ্রহ করেন। এই বীজ প্রকৃয়াজাত করে রাস্তার দুই পাশে ছয় কিলোমিটার জুরে বপন করা হয়।
হারজি গ্রামের কৃষক হাশেম আলী বলেন, সম্প্রতি রাস্তাটি প্রসস্ত করণের কাজের জন্য কয়েক হাজার বৃক্ষ উজার হয়। এ তাল বীজ বপন হলে সড়কের মাটির ক্ষয় রোধ হবে। সময়ের ব্যবধানে বজ্রপাত রোধে যেমন ভূমিকা রাখবে অন্যদিকে শোভা বর্ধন করে বিনোদনও দিবেন এলাকাবাসীকে। ইউএনও এর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সাংস্কৃতিক কর্মী শিবু সাওজাল জানান, আমাদের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়, তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টি বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। নানা করণে আমাদের তালগাছ উজার হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে অনেক মানুষের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। উঁচু বৃক্ষ বজ্রপাত কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তালগাছ বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশি ভূমিকা রাখে। তালগাছে কার্বনের পরিমাণ
বেশি থাকে। বিশেষ করে তালগাছের বাকলে কার্বনের উপস্থিতি বেশি। যা বজ্রপাতের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে সক্ষম। তাই আমাদের এলাকার প্রতিটি রাস্তার পাশে তাল গাছ রোপ করা উচিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম বলেন, বজ্রপত থেকে পরিত্রাণের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে রাস্তার পাশে তালের চারা রোপন করা উচিত। এ উদ্যোগ আমরা অব্যহত রাখবো।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :