AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন


ফরিদপুরে কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন

ফরিদপুরে জেলার  সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাঁকা জেলায় কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আগের দিনগুলো স্বাভাবিক থাকলেও বৃহস্পতিবার  সকাল গড়িয়ে  দেখা মেলেনি সূর্যের।

বৃহস্পতিবার  (১২ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে ব্যহত হচ্ছে চলতি মৌসুমের পিঁয়াজ লাগানোর কাজ, বিপদে অন্যান্য শ্রমিকরাও।

জানা যায়, ফরিদপুর জেলার  ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন বেলা১২টার পর তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত।

দিন মজুর, খেঁটে খাওয়া মানুষ ও গৃহস্থরা গবাদি পশু নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। তারা বলছেন, ‍‍`এই শীতে আমরা খেঁটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে না পাড়ায় পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে পড়েছি।‍‍`

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। হিম বাতাসে ঝরছে শিশির। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা।  শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।

অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের সাবধানে রাখতে।

বোয়ালমারী চৌরাস্তার সামনে থেকে কথা হয়    জাকির নামে এক শ্রমিকের সাথে তিনি জানান, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

মাঝকান্দি নামক স্থান থেকে কথা হয়  ইজিবাইক চালক আল ইমরানের সাথে তিনি  জানান, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব ধীরগতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডায় অনেকেই বাড়ি থেকে বের না হাওয়ায় রাস্তাঘাটে লোকজন তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। আয় রোজগারও কমে গেছে। পেটের তাগিদে শীতের মধ্যে আমাদের প্রতিদিন বের হতে হয়।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!