বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস পেয়েছেন। বুধবার জয়পুরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে লন্ডনে একটি সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই বছরে ১৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ২৮ মে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা খারিজ করে দেন।
জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শাহানুর রহমান শাহিন বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে যে মামলা করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা তার কোন ভিত্তি ছিলনা। আদালতের ওপর বিগত স্বৈরাচার সরকার হস্তক্ষেপের কারণে এ মিথ্যা মামলার ন্যায় বিচার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল।
আজ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে এবং যার উপর ভিত্তি করে মামলাটি করা হয়েছিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এজন্য বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই জয়পুরহাটে করা মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান।
এ দিকে রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :