চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর বেঙ্গুরা স্টেশন এলাকায় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটি রফাদফার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, এ ঘটনায় মামলা ও গাড়ি জব্দ করার কথা থাকলেও তা করেনি রেল পুলিশ। বোয়ালখালী থানার (ওসি)র নির্দেশে গাড়িটি মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুত্রে জানায়, গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১:৪৫ মিনিটের সমচ বোয়ালখালী উপজেলার ৫ নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের বেঙ্গুরা স্টেশন এলাকায় একটি মাইক্রোবাস হঠাৎ রেললাইনে উঠে আসলে পর্যটক এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন বগির কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলওয়ের আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ ও রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার নিয়ম হলে ও কোনোটি করা হয়নি। এমনকি ঘটনাস্থলেও যায়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত ষোলশহর স্টেশন ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুল কাশেম। মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ নিয়ে গেলে ও পরে মালিককে গাড়িটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ি মো. আবুল কাশেমের যোগসাজশে রফাদফা হলে গাড়ি মালিককে দিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ষোলশহর স্টেশন রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে আমি গাড়ি মালিকের কাছে দিয়ে দিয়েছি। কোনো লেনদেন হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে গাড়ি ফিরিয়ে এনে মামলা করা হবে।
মামলা করা ও গাড়ি জব্দের নিয়ম থাকলে তা মানা হয়নি কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন, আমি জানি না। এদিকে ষোলশহর স্টেশন ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুল কাশেম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে মামলা না করে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। আমি গত দু’দিন ধরে ছুটিতে আছি। বর্তমানে পুরান ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরওয়ার আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধারের পর রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো রেলওয়ের বিষয়, আমরা কেবল সহায়তা করেছি মাত্র।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :