মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে স্থাপনা (দোকান) নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারের পশ্চিম পাশের এলজিইডির রাস্তার জায়গায় ব্যাবসায়ীক উদ্দেশ্যে স্থায়ীভাবে স্থাপনা (দোকান) নির্মাণ করেছেন এই এলাকার বাসিন্দা মৃত আমজাদ আলী শেখের ছেলে মোঃ হাসেম শেখ (৬০) এক ব্যক্তি।
এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কেউ বিষয়টি অবগত নয়। এমনকি উপজেলা এলজিইডির আওতাধীন রাস্তার জায়গা দখল করে স্হায়ী ভাবে পাকা করে দোকান স্হাপনা নির্মান করা হয়েছে এই বিষয়ে এলজিইডি কর্মকর্তা কিছুই জানেন না বলে জানান।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কায়েসুর রহমান কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এই অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে স্হায়ী ভাবে স্হাপনা তৈরী করার বিষয়ে বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, আমি কোন লিখতে অভিযোগ পাইনি ও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। তিনি এও বলেন- দেখেছি কাজ চলমান রয়েছে কোন অভিযোগ পাইনি তাই ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি।
অভিযুক্ত মোঃ হাসেম আলী শেখ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই স্থানে আমার আগে থেকেই অস্হায়ী (কাচাঁ) দোকান ছিল। টিনের বেড়া ও উপরের চালাও ছিল টিনের। তবে এখন আমি পাকা ভাবে তৈরি করতেছি। সরকারি জায়গায় স্থায়ীভাবে স্থাপনা করছেন এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না আমি শুধু শক্ত করে তৈরি করছি এতটুকুই জানি। আমি কাজ বন্ধ রাখবো আমাকে আগামীকাল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে লৌহজংয়ে যেতে বলা হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ শৌয়াইব বিন আজাদ কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, প্রশাসনিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আগামী কাল আমি সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এসময় তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের দায়িত্ব ছিলো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কায়েসুর রহমান বলেন, এই জায়গাটি এলজিইডি কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি। এলজিইডির নামে নামজারি করা আছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :