সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাথার প্রান্তরে প্রায় পাচ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সরকারী সড়ক পথ আছে। খোর্দ গজাইল থেকে তেবাড়িয়া অবধি কোথায় সড়ক বলতে জমি সমান হালট পথ। আবার কোথায় সড়ক পথের চওড়া কম। এক সময় ভালো যোগাযোগ পথের জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে। তবে সড়ক পথটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হয়নি। এতে সড়কে চলাচলে আর মাঠ থেকে ফসল বাড়ী নিতে কৃষকদেরকে বেশ কষ্ট করতে হয়।
উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের খোর্দ গজাইল গ্রাম থেকে তেবাড়িয়া গ্রাম অবধি প্রায় পাচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি আবাদী মাঠের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে সড়কটির বেশী অংশ মাঠের আবাদী জমি সমান । সহজ কথায় একই লেবেলে জমি ও সড়ক পথ। অনেকেরই কাছে হালট পথের পরিচিতি আছে। আবাদী মাঠের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া দিকদার খালের উপর বছর সাতেক আগে সরকারী টাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ব্রীজটির দুপাশে সড়কে মাটি উচু কম থাকায় চলাচলে বেশ সমস্যা হয় বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এছাড়া সড়কটির বেশ কয়েক জায়গায় সড়কটির কম চওড়া বিষয়ে জানা গেছে দুপাশের জমি মালিকেরা সড়কের জায়গা কেটে জমি বানিয়েছেন।
প্রতিবেদককে তেবাড়িয়া গ্রামের জুয়েল রানা , আঃ করিম , শ্যামপুর গ্রামের মাহাম মিয়া বলেন এলাকার লোকজন সড়কটিতে পায়ে হেটে চলাচল করেন। বাহন নিয়ে চলাচল করতে গেলে বেশ সমস্যা হয়। আর আবাদী মাঠ থেকে ফসল বাড়ী নিতে খুবই কষ্ট আর খরচ বেশী হয়। এরাসহ আরো কয়েকজন বলেন সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে সড়কটি মাটি ফেলে উচু করা কিংবা সাবমারজেবল সড়ক নির্মাণ করা হলে চলাচলে সুবিধা ও ফসল বাড়ী নিতে কষ্টের অবসান হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন তিনি সরেজমিনে গিয়ে সড়কটি দেখবেন। সড়কটি হয়ে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার হলে প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :