বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বিভিন্ন পক্ষ ও সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যারা অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে আসছে, তাদের এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই এই গণঅভ্যুত্থানের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করতে হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের বিপ্লবের যে স্বীকৃতি, সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার। সেখানে সরকার বা রাষ্ট্র কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা ৩১ জানুয়ারি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, সেখানে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবেন, সেই বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়ে ৩১ জানুয়ারি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেনি। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি পর এতদিন অতিবাহিত হলেও আমরা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে এখনও দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ এবং আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। এখানে আমাদের যে ৪৭ ৭১ এবং ২৪ এর যে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে হবে। আমরা কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে একটি জাতি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে তার স্বীকৃতি দিতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল, সেই রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সে আকাঙ্খার প্রতিফলন এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে অবশ্যই থাকতে হবে।’
হাসনাত বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে ছুটে যাব। এবং প্রত্যেকটি প্রান্তের মানুষ যারা এখনও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা তাদের কাছে জানতে চাইব তারা আসলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে কী দেখতে চায়। এবং সেটির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে। যেখানে কোন ধরনের ফ্যাসিবাদ, কোনো ধরনের বৈষম্য, কোনো ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের অস্তিত্ব থাকবে না।’
এর আগে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় জুলাইয়ের বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিতে কুমিল্লার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা পুলিশ লাইনে এসে উপস্থিত হয়। সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লার নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ এবং গণসংযোগ করা হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :