ফোন পেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার ১৮দিনেও খোঁজ মেলেনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের যুবক সাইদুল ইসলামের। বহু খোজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে সন্তানের খোজে দিশেহারা বাবা মা ও স্বজনরা। ভয়, অনিশ্চিতাও ও দুর্ঘটনার আশংকায় হন্যে হয়ে ঘুরছেন নানা স্থানে।
সহায়তা চাইছেন জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।নিখোঁজ ২৮ বছর বয়সী যুবক উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের মকবুল হোসেনের ছেলে। মকবুল হোসেন জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় অজ্ঞাত কার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার ১৮দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মিলছে না ছেলের। তিনি আরোও জানান, এই মর্মে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি রিখিত জি.ডি করিছি,জিডি নম্বর-১৪২৪ মোঃ সাইদুল ইসলাম (২৮)। গত ২৪/১২/২০২৪ইং তারিখ রাত্র অনুমান ০৯:৩০ ঘটিকার সময় কে বা কাহারা তার মোবাইল ফোনে কল করিলে সে বাড়ীর কাউকে কিছু না বলিয়া বাড়ী হইতে জৈনা বাজারের উদ্দেশ্যে বাহির হইয়া যায়।
পরবর্তীতে ৪—৫ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও সে ফিরিয়া না আসিলে আমি তাহার মোবাইল নং— ০১৯৩০৬৭১১৬৪ তে ফোন করিলে নাম্বারটি বন্ধ পাই। পরে আমি আমার সম্ভাব্য সকল স্থানে ও আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে ও পরিচিত সকল জায়গায় খোজাখুজিয়া করিয়া আমার ছেলের কোন সন্ধান পায়নি। খোজাখুজি অব্যাহত আছে । ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে সন্তানের খোঁজে দিশেহারা তার মা ও পিতা মকবুল হোসেন। নিখোঁজের বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন জানিয়ে বলেন দুর্ঘটনার আশংকাসহ অজানা উৎকন্ঠায় রয়েছেন তারা। সন্তানকে ফিরে পেতে জেলা পুলিশ সুপার, যৌথবাহিনী, র্যাব সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছেন নিখোঁজ সবুজের অভিভাবক ও স্বজনরা।
নিখোঁজ সাইদুল ইসলামের চাচা ফাইজুদ্দীন বলেন,সাইদুল ইসলাম আমার ভাতিজা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোজি করছি,কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা।আল্লাহ যেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থভাবে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন এই কামনা করি।
নিখোঁজ সাইদুল ইসলামের চাচাতো ভাই নজরুল বলেন,নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সাইদুলের বাবার মোবাইলে বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল দিয়ে সাইদুলকে ফিরে পেতে অর্থ দাবি করে বিকাশে টাকাও নিয়েছে।আমরা সেই নাম্বারগুলো প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় এসআই রেজাউল করিম জানান, তদন্ত চলমান রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ সাইদুল ইসলামরে সন্ধানে কাজ করছি।তার চাচা ফাইজুদ্দীনকে তারা প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছিল পরে এলাকাবাসী তাদের বাড়িতে গিয়ে ফাইজুদ্দীনের সাথে এ ঘটনার কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :