মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে থানা থেকে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা।
শ্রীনগর থানার মারামারি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে (৪০) শ্রীনগর থানা থেকে দুই দফা চেষ্টায় শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা দিকে শতাধিক নেতা কর্মী ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের নেতা মো. তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর ধাইসার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তারিকুল শ্রীনগর থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত ১৭(১১) ২৪ নং মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী। তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবদলের সদস্য তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে যায় নেতাকর্মীরা। তারা তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীরর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০-২৫০ জন নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে `জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো`সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।
তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, `আমি থানাই যাইনি। আমার বিরুদ্ধে কোনো একটি পক্ষ মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।` তিনি দাবি করেন, থানা থেকে কোনো আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমন হতে পারে, যে আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল, সে রাস্তা থেকে পালিয়ে গেছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেই সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :