পিকনিক খেতে গিয়ে মারধরের শিকার হযেছেন নেতা-কর্মীরা। ভাংচুর হয়েছে পিকনিকের হাড়ি-কড়াই ও মটর সাইকেল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা লিপন মালিতা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কুশনা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক লিপন মালিতা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুব দলের যুগ্ন আহবায়ক আসাদুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য বকুল মল্লিক,উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন,গেল শুক্রবার রাতে কোটচাঁদপুরের তালিনা গ্রামের বিএনপি সমর্থক কুতুব আলী মাস্টারের বাড়িতে পিকনিকের দাওয়াত ছিল। ওই দাওয়াত খেতে পঞ্চাশটি মটর সাইকেলে শতাধিক নেতা- কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় পিকনিকের রান্না চলছিল। হঠাৎ তালিনা গ্রামের সড়ক দিয়ে হৈচৈ করতে করতে কুশনা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোস্তফা সাঈদ ও বিএনপি নেতা শিক্ষক আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন ছুটে আসেন। এরপর তাদের হাতে থাকা দা,লাটি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাংচুর করেন পিকনিকের হাড়ি - কড়াই,নেতা- কর্মীদের মটর সাইকেল। মারপিট করেন নেতা-কর্মীদেরও। এ অবস্থা দেখে আমরা ওই রাতে প্রাণ ভয়ে ঘটস্থলে সব কিছু ফেলে রেখে চলে আসি। তবে কি কারনে তারা মারপিট করল সেটা আমাদের জানা নাই।তিনি বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে যাওয়ায় আমরা বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
এ দিকে ওই ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক (এএসআই) সমির কুমার। তিনি বলেন,ওই গ্রামে একটি পক্ষ পিকনিকের আয়োজন করেছিল। এ সময় গ্রামের আরেকটি পক্ষ হৈচৈ করতে করতে এসে তাদের পিকনিক বন্ধ করে দেন। ভাংচুর করেন পিকনিকের হাড়ি -কড়াই। তবে ওখানে কোন মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগও করেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কুশনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তফা সাঈদ বলেন, মূলত পিকনিকের খাওয়া নিয়ে গোলযোগ। তারা ওই গ্রামের বিএনপির কোন নেতা-কর্মীদের দাওয়াত দেননি। এতে করে ক্ষুব্ধ হন ওই গ্রামের নেতা-কর্মীরা। তারই বহির প্রকাশ ওই ঘটনা। তবে ওখানে কোন মারধর বা মটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আর ওই ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে দাবি ওই নেতার।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :