ময়মনসিংহের নান্দাইলে যৌথ বাহিনী কর্তৃক চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারকৃত উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ শাহাব উদ্দিন ভূইঁয়াসহ একই মামলায় ৭ আসামীকে বিজ্ঞ আদালত রোববার (১২ জানুয়ারি) জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যৌথ বাহিনী উপজেলার বাশঁহাটি এলাকা থেকে শাহাব উদ্দিন ভূইঁয়াকে আটক করে নান্দাইল থানায় হন্তান্তর করেন। পরে শনিবার তাকে একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাতে জনৈক খোকন মিয়া নামে এ ব্যবসায় বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চাঁদা চাওয়া ও নেওয়ার দাবিতে মামলা করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার বাদী খোকন হচ্ছেন উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
তিনিসহ অনেকেই নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় মাছ ও সবজি বাজারের সরকারি জায়গায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছিলেন। এ অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা চাঁদা আদায় ছাড়াও সম্প্রতি এককালীন পাঁচ হাজার করে টাকা দিতে বলেন চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন। চাঁদা ছাড়াও এককালীন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। তাই বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।
একই মামলায় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে বারুইগ্রাম গ্রামে মৃত রইছ উদ্দিন ভূইঁয়ার দুই পুত্র মানিক ভূইঁয়া ও জীবন ভূইঁয়া, মোঃ হেকিম মুন্সীর পুত্র হাবিবুর রহমান, পংকরহাটি গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও ফাইজুল ইসলাম, গাংগাইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব উদ্দিন ইনকম,আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ জানান, নান্দাইল চৌরাস্তাসহ উপজেলার অন্যান্য স্থানে সরকারী জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযানের পর উল্লেখিত স্থানে পুনরায় কেউ স্থাপনা নির্মাণ কিংবা চাঁদা দাবী করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :