চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পুজা অর্চনা মধ্যে দিয়ে দুই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শুক্লম্বর দিঘির মেলা ২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল (১৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী পূণ্যতিরা চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের বাইনজুরী গ্রামে এসে জমায়েত হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধারণা এ দিঘিতে মানত করে তাদের মনের আশা পুণ্য হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পৌষের শেষে মাঘের শুরুতে এই দিঘিতে পাড়ে বসে বিশাল মেলা। এ মেলায় বাংলাদেশ সহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে হাজারো লোকজন মেলায় আসেন। মেলার দিন সকাল থেকেই রাত পর্যন্ত দিঘির আশপাশে পুণ্যতিদের ঢল নামে।
স্থানীয়রা জানান, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের নদীয়া থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য আসা শুক্লম্বর ভট্টাচার্য ধর্মদেশনা স্থানে তার নামে দুই ’শ বছর আগে এ মেলা প্রতিষ্ঠিত করেন প্রয়াত নিত্যানন্দ বৈলয়। পৌষের শেষে পহেলা মাঘে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্লাম্বর ভট্টাচার্য এ দিঘির পাড়ে বসে ধ্যান ধারণা মগ্ন থাকতেন। দুই’শ বছর আগে তিনি ইহজগত ত্যাগ করলে তাকে এই দিঘির পাড়ে সমাহিত করা হয়। তার সমাহিত স্থানে একটি অশ্বখ বৃক্ষ বিশাল এলাকাজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ দিনে ওই বৃক্ষের ডালপালাতে পূর্ণাতীরা লাল, সুতা বেঁধে দেয়ার প্রতিযোগিতায় থাকে। তাদের ধারণা মানত করে সুতা বেঁধে দিলে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। কবুতর ছেড়ে দেন, বক্তরা মন্দিরের জন্য শত শত ছাগল বলিদান করে থাকেন। বিভিন্ন দান পুজারীরা মন্দিরের জন্য উৎসর্গ করে। এ ছাড়া মেলার দিন সহ বিভিন্ন সময়ে গরুর গাভীর দুধ ওই দিঘির জলে ঢেলে দিয়ে পাপ মোচনের জন্য স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। দিঘির দক্ষিণ সেখানে একটি শীব মন্দির রয়েছে। সেখানে মহিলারা তাদের ছেলে সন্তানদের জন্য মানত করে পুজা দেয়। তারা বিশ্বাস করেন মানত করে পুজা দিলে তাদের মনের আশা পুণ্য হয়।
এ মেলা কে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে চন্দনাইশ থানা পুলিশের একটি দল মেলা চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। মেলাকে ঘিরে বিশাল মেলা বসে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :