কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণে কপাল পুড়েছে আব্দুল হাকিমের। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে তাঁর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটি। এতে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে চরম বে- কায়দায় পড়েছেন তিনি। সে কোটচাঁদপুর আর্দশপাড়ার বাসিন্দা।
আব্দুল হাকিমের মা সালেহা বেগম বলেন, গেল ২০ বছর ধরে আমার ছেলে হাকিম হারপিক, ভিকসল বানিয়ে এই ইজিবাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকেন। ওই ব্যবসা থেকে যা আয় রোজগার হয়,তা দিয়ে চলে তাঁর তিন মেয়ে মাসহ ৫ সদস্যের সংসার।
তিনি বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার মালামাল বিক্রি করে জাহাঙ্গীর মাস্টারের বাড়িতে ইজিবাইকটি রেখে বাড়িতে যান। এর কিছুক্ষন পর শুনতে পারেন বিস্ফোরনের ঘটনা। এরপর ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান তাঁর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইকটি বযলার মেশিনের মুখের আঘাতে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। সে থেকে হাকিম মন খারাপ করে,পাগলের মত এদিক সেদিক থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারন ওই ইজিবাইকটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ৫ সদস্যের সংসার চালানো নিয়ে দুঃচিন্তায় আছেন সে।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের কোন জায়গা জমি নাই। আমি আমার বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রির টাকা দিয়ে এখানে একটি বাড়ি করে দিয়েছি। আর কোন পুজি নাই তাঁর। বয়লারে মাস্টারের বাড়ির প্রাচীর ও ল্যাট্রিন ভেঙ্গে গেছে, সেটা তিনি মেরামত করে নিতে পারবেন। কিন্তু আমার ছেলের তো কোন টাকা নাই। সে কিভাবে ইজিবাইকটি মেরামত করবেন। সালেহা বেগম বলেন, কিস্তির টাকা দিয়ে ইজিবাইকটি কেনা ছিল। আর ব্যবসাও করেন কিস্তির টাকায়। বিস্ফোরণে ইজিবাইক ক্ষতি গ্রস্থ্য হওয়ায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সংসার চালানো আর কিস্তির টাকা নিয়ে দুঃচিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। আব্দুল হাকিম কোটচাঁদপুর আর্দশ পাড়ার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার সময় স্থানীয় মোবাশ্বের মিয়ার তালমিল সংলগ্ন কাঠের গোলায বিস্ফোরণ ঘটে কাঠ বয়লার মেশিনটি। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলে মারা যান দুই জন, আহত হন আরো এক। এ দিকে ওই ঘটনার পর থেকে মেশিন মালিক মিজানুর রহমান আত্ম গোপনে রয়েছে। সে পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :