AB Bank
ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জীবননগরে তীব্র শীতের মধ্যে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত চাষিরা


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,চুয়াডাঙ্গা
০৩:০১ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
জীবননগরে তীব্র শীতের মধ্যে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত চাষিরা

বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলা জুড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন যবুথবু অবস্থা। 

এই কনকনে শীতের মধ্যে শুরু হয়েছে বোরোধান রোপণের মৌসুম।তীব্র শীত কে উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জীবননগর উপজেলার চাষিরা। শ্রমিক সংকটের কারনে কিছু কিছু জায়গায় ধানের চারারোপণ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

উপজেলার অধিকাংশ ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সেচ পাম্প ও বৈদিক মোটরের সাহায্যে ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন চাষিরা। ধান রোপণ করতে পাওয়ারট্রলি ও হালের গরু দিয়ে জমি প্রস্তুত, বীজ তলা থেকে চারা সংগ্রহ ও ধানের রোপনের ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।পরিবারের চাহিদা মেটাতে ও বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান চাষের উৎসবে মেতেছে কৃষক কৃষানীরা।

ধান রোপণের শ্রমিক মৃগমারী গ্রামের সুলতান হোসেন বলেন, আমরা চুক্তিভিত্তিক প্রতি বিঘা ধান লাগাতে ২ হাজার ৪ শত নিয়ে থাকি। ভোরে কুয়াশার মধ্যে বীজ তলা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে সেগুলো মাথায় করে জমিতে নিয়ে গিয়ে ধান লাগানো হয়।

আরেক শ্রমিক মাহাবুল ইসলাম বলেন, এখন ধান লাগানোর মৌসুম।এই সময় কাজ বেশি থাকে। মৌসুম শেষ হয়ে গেলে আবার কাজ কম হয়ে যাবে।তাই আমাদের দলের সবাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান লাগানোর কাজ করি।তীব্র শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরে ঠান্ডা পানি থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে কাঁদার মধ্যে ধানের চারা রোপণ করি।আজ ১০/১২ দিন ধরে শীতের মধ্যে এই কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। 

ধান চাষি মন্টু মিয়া বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে খাটো বাবু জাতের ধান লাগাতে চাচ্ছি। জমি ও ধানের চারা প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে ধান লাগাতে ৩/৪ দিন দেরি হবে মনে হচ্ছে।

জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জীবননগর উপজেলায় ৭ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫/৪০ শতাংশ ধান রোপণ করা হয়েছে। বাকিগুলো রোপণের প্রস্তুতি চলছে। 

শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও ঘনকুয়াশা কম আছে যার কারনে ধানের বীজতলা ও চারার কোনো ক্ষতি হবেনা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!