সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মাত্র ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে খুলনা নগরীতে সংঘটিত হলো তিনটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। এসব হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রথম হামলাটি ঘটে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার পেছনে। ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার (৩৫) দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন। আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) ভর্তি করার পর বিকেলে তিনি মারা যান। পুলিশ জানায়, মানিকের সঙ্গে ওএমএস এর চাল বিতরণ নিয়ে এক নারীর বাকবিতণ্ডা থেকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে সন্ধ্যা ৬টার দিকে। আযমখান কমার্স কলেজের ভেতরে নওফেল নামের এক যুবককে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে তার বাম হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আত্মরক্ষার জন্য নওফেল কলেজের ভেতরে প্রবেশ করলেও দুর্বৃত্তরা তার পিছু নেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন। নওফেল সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটে তৃতীয় হামলা। বয়রা শ্মশানঘাট এলাকায় সজীব শিকদার (২৯) নামের এক যুবক সন্ত্রাসীদের চাপাতির আঘাতে গুরুতর জখম হন। পুলিশ জানায়, সজীব সন্ত্রাসী কালা লাভলু ও সাগর গ্রুপের দ্বন্দ্বের শিকার। হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত সজীবকে প্রথমে খুলনা মেডিকেলে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
হামলাগুলোর ঘটনায় নগরীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক কোন্দল ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য বিস্তারের ফলে এ ধরনের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব একুশে সংবাদকে জানান, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে, এবং সন্দেহভাজন কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :