AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাণীশংকৈলে শীতের দাপটে অসহায় ছিন্নমূল মানুষরা, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা


Ekushey Sangbad
আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
০২:৩১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
রাণীশংকৈলে শীতের দাপটে অসহায় ছিন্নমূল মানুষরা, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।গত কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়েছে বৃষ্টির মত পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ ঘাট, পথঘাট সব ঢাকা পড়েছে। বেলা বেড়েছে তবুও দেখা নেই সূর্যের।

শুক্রবার রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার সকল এলাকা কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাফেরা করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একদিকে কনকনে শীত অন্যদিকে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু মানুষই নয় এই শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিজগতেও৷ 

এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো, কাঠ খড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছ। 

এ বিষয়ে কথা হয় ভবান্দপুর এলাকার বাসিন্দা নাইম ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কনকনে শীতের কারণে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।

অন্যদিকে হোটেল শ্রমিক নিতাই চন্দ্র বলেন, মানুষ শীতেই বাড়ি থেকে বের হয় না। এই শীতের কারণে আমরা তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না।

নেকমরদ এলাকার জুতা ব্যবসায়ী  সেকেন্দার আলী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। কুয়াশার কারণে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীত প্রতিবছরই আমাদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।

কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

রিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) রকিবুল হাসান  বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও শীতের প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও আবেদন করেছি শীতবস্ত্রের জন্য আবারও। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীত বস্ত্র পান এবার। এছাড়াও বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে 

 

Shwapno
Link copied!