নারায়ণগঞ্জে নতুন ইতিহাস গড়ার পথে জামায়াত

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা জামায়াতের আয়োজনে করতে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিশাল গণসমাবেশ। হাসিনা সরকারের পতনের পর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে উজ্জীবন এসেছে, তা এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে নেতৃবৃন্দ ।

জামায়াতে নেতাদের মতে, এই সমাবেশ একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। এক দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক সংকট, নিপীড়ন, এবং অধিকার হরণ মোকাবিলা করার পর, দলটি জনগণের মাঝে আবার তাদের পুরোনো গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছে।

জামায়াতে নেতারা জানিয়েছেন, এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমি তুলে ধরা হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫ আগস্টের হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। জামায়াত সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য তৎপর। দলটি এই সময়ে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়।

মহানগরী ও জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানায়, জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন এই সমাবেশ সফল করার জন্য। সমাবেশের স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রস্থলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ১ লক্ষ্যে এর বেশি মানুষের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার এর সভাপতিত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও জামায়াতের আমীর ডা: শফিকুর রহমান সহ কেন্দ্রেীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে দলটির অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে জামায়াত ভূমিকা রাখতে চায় তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হবে।

এই সমাবেশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও প্রাণচঞ্চল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, "রাজনীতিতে জামায়াতের নতুন সক্রিয় ভূমিকা আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন চাইছিলাম।"

৭ ফেব্রুয়ারির এই সমাবেশ শুধু জামায়াতের জন্য নয়, বরং সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলটি গণমানুষের কাছে নিজেদের নতুনভাবে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা নির্ধারণ করবে। স্মরণকালের এই বিশাল গণসমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

একুশে সংবাদ/বিএইচ