রংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিঠাপুকুরের রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গড়ের মাথা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একাধিক পরিবহন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মিঠাপুকুর গড়ের মাথা মোড়ে ঘন কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় দুটি বাস, একটি ট্রাক, একটি পিকআপ ও একটি কাভার্ডভ্যান পরস্পরকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকটি পরিবহনের সামনের গ্লাস ভেঙে যায় এবং যানবাহনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ২০-২৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী বাস, একটি ট্রাক, একটি পিকআপ ও একটি কাভার্ডভ্যান রয়েছে।
বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আহত কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘন কুয়াশায় পিচ্ছিল হয়েছিল। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় হয়তো চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে ধাক্কা দেয়। ঘটনার পর পুলিশ উদ্ধার কাজ শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর হাইওয়ে অঞ্চলের মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকায় বেশ কিছু ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় দৃষ্টিসীমা অনেক কমে গেছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চালক ও যাত্রী সাধারণকে ধীরে এবং সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জসহ জেলার কয়েকটি স্থানে পৃথক পাঁচটি দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :